দেশে লকডাউন শিথিল ও ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়েছে তিনগুণ
লকডাউন শিথিলের তৃতীয় দিনেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব ও পশ্চিম পাশে গাড়ি আটকা থাকায় শনিবার ভোরে দুই বার সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৭ জুলাই) ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পাড় থেকে ঘারিন্দা পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে৷ এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
জানা যায়, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব, এলেঙ্গা, টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকায় যানজট রয়েছে।
জানা যায়, দেশে লকডাউন শিথিল ও আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়েছে তিনগুণ। এতে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচল শুরু করেছে। ফলে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশের ২০ কিলোমিটার অংশে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব হতে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা পর্যন্ত মহাসড়কের ২৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু সেতুপশ্চিম হতে সিরাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত পরিবহনের ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে মহাসড়ক বর্ধিতকরণের কাজ চলমান থাকায় সেখানে সৃষ্টি হওয়া যানজট গিয়ে ঠেকছে টাঙ্গাইল অংশে। এদিকে সেতুর দুইপাশে দীর্ঘ যানজট থাকায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে রাতে দুই ঘন্টা এবং ভোরে পরপর দুইবার টোল আদায় বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও চালকরা।
মহাসড়কে চলাচলাকারী চালকরা জানান, প্রতিনিয়তই টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পর্যন্ত মহাসড়কে যানজটে আটকে থাকতে হয়। এতে চরম ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে। আবার টাঙ্গাইল অংশ পাড় হতে পারলেও সিরাজগঞ্জ অংশে গিয়ে আটকা পড়তে হয়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসিন আরাফাত জানান, মহাসড়কে তিনগুনের বেশি পরিবহন চলাচল করছে। এতে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের অংশে মহাসড়কের বর্ধিত করণ কাজের কারণে লকলা ব্রিজ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়ে টাঙ্গাইলের অংশে এসে থেমেছে। এতে পরিবহন সহজে সেতুর পার হতে পারছে না। আবার সেতু কর্তৃপক্ষ শুক্রবার রাত ২টা থেকে ৪টার পর্যন্ত সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রেখেছিল। এর ফলে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে৷