ইন্টারন্যাশনাল পডকাস্ট অনলাইন প্লাটফর্মে সাড়া জাগিয়েছে আশরাফ আলী সোহানের ইসলামি সঙ্গীত
ইসলামী সংস্কৃতির চর্চা মানুষের মাঝে ধর্মীয় মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনতে বেশ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে ইসলামি সঙ্গীত চর্চা অন্যতম অগ্রপথিক ছিলেন মাওলানা আইনুদ্দীন আল আজাদ। তিনি ছিলেন ইসলামকেন্দ্রিক সংস্কৃতির একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
সময়ে সময়ে তার সুললিত কণ্ঠে শোনাতেন ইসলামের সাম্য ও আদর্শের বাণী। তুলে ধরতেন সমাজের নানা অবিচার ও অসঙ্গতি। অপসংস্কৃতির মোকাবেলায় সুস্থ ও নির্মল সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে গিয়েছেন আমৃত্যু।
ইসলামী সংস্কৃতি নিয়ে আইনুদ্দীন আল আজাদ তৈরি করে গিয়েছেন অগণিত সংস্কৃতিকর্মী। তার হাত ধরে বেড়ে উঠেছে অনেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী।
আশরাফ আলী সোহান সংগীত চর্চা শুরু ২০১৮ সাল থেকে। তবে তার প্রথম সঙ্গীত ‘ওগো নাবিজি’ এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদচারণা হয় ২০১৯ সাল থেকে। এরপর থেকে তিনি একে একে বেশ কিছু জনপ্রিয় ইসলামি সংগীত শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন।
আশরাফ আলী সোহান শুধু সংগীত গেয়ে থাকেন বিষয়টি এমন না; ইন্টারন্যাশনাল পডকাস্ট প্লাটফর্মে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ইসলামি সঙ্গীত।
বাংলাদেশী ইসলামি সংগীত, ইন্টারন্যাশনাল পডকাস্ট প্লাটফর্মে প্রকাশ পেয়েছে অনেকটা আশরাফ আলী সোহানের হাত ধরেই। প্রকাশিত ইসলামি সঙ্গীতের মধ্যে ‘ওগো নাবিজি’, ‘তোমায় স্মরি’, ‘একবার এবং ‘স্বপ্নে করি জিয়ারত’ সংগীত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ইসলামী সংস্কৃতি প্রচারে রয়েছে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। যা আর্টিস্ট চ্যানেল হিসেবে ভেরিফাইড করে দিয়েছে ইউটিউব।
এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল পডকাস্ট প্লাটফর্ম স্পটিফাই, মিউজিক্সম্যাচ, এমাজন মিউজিক, এপল মিউজিকসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে রয়েছে ইসলামি সঙ্গীত সেই সাথে ভেরিফাইড একাউন্ট।
প্রাইমারি স্কুলের মধ্য দিয়ে শিক্ষা জীবন শুরু হলেও আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া হতে, ২০০৬ এ হিফজ, ২০১৪-১৫ তে দাওরা (জামিয়া ইসলামিয়া), ২০১৮ তে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাসের উপর অনার্স সমাপ্ত করেন।
আশরাফ আলী সোহান ইসলামি সংস্কৃতির সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। সে লক্ষ্যে সমাজ পরিবর্তনের প্রত্যয় নিয়ে শ্রোতাপ্রিয় অসংখ্য সঙ্গীত নির্মাণ করে যাচ্ছেন তিনি।
তিনি বলেন, স্বপ্ন দেখি একদিন বাংলাদেশের এই বিস্তীর্ণ ভূমিতে ইসলামি সংস্কৃতি তার কাঙ্তি লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে।