চাঁদ দেখা সাপেক্ষ ২১ জুলাই কোরবানির ঈদ অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে হিসাবে ঈদের আর কয়েক দিন বাকি। কিন্তু করোনা রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধে কারোনে ব্যাপারীদের পা পড়েছে দেড়ীতে কুষ্টিয়া জেলায়। জেলার সব পশুর হাটও বন্ধ ছিল। অনেকেই বাড়ি থেকে গরু বিক্রির প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। ক্ষুদ্র খামারিদের অনেকে ইতোমধ্যেই তাদের গরু বিক্রি করে দিয়েছেন। এবার আগে থেকে ৩৫ ভাগ পশু বিক্রি হয়ে গেছে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান, এ বছর কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু ৯০ হাজার। ছাগল ৬১ হাজার। গত বছরের তুলনায় এ বছর পশুর সংখ্যা বেশি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার।
তিনি আরও জানান, কোনো প্রকার মেডিসিন ছাড়াই কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করায় দেশব্যাপী এ অঞ্চলের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। একইভাবে দেশের বিখ্যাত ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট একমাত্র এ অঞ্চলেই পাওয়া যাওয়ায় গরুর পাশাপাশি ছাগলেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে জেলার প্রায় ১৭ হাজার ৭৯৩ জন খামারির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গরু-ছাগল পালন করা হয়। এ ছাড়া ৪ হাজার ভেড়াও লালন পালন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে খামারিদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। হাট খুলেছে। সবাইকে সতর্ক হয়ে হাটে যাওয়ার ব্যাপারে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সরকার হাট বসানোর সিদ্ধান্ত দেওয়ায় খামারিরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, জেলার খামারিদের নানাভাবে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। হাটে অবশ্যই সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ