কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়নের কৈলাগ উত্তর পাড়া গ্রামের ফেনু হত্যা মামলার ১১ আসামী গত সোমবার (ঈদের আগের দিন) কিশোরগঞ্জ বিচারিক আদালত নং-৫ এর হাকিম সাদ্দাম হোসেনের আদালতে ১১ জন আসামী হাজির হলে সবাইকে জেলে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। আত্মসর্পনকারীরা হলেন, মোঃ মাসুদ মিয়ার ছেলে পাভেল মিয়া (১৮), রবিন মিয়া (১৮), নাছিম মিয়া (৩৫), মাসুদ মিয়া (৪৫), রুবেল মিয়া (৩২), সোহেল মিয়া (২৮), জুয়েল মিয়া (২৬) সর্ব পিতা- দানা মিয়া, লোকমান হোসেন (৩২), জীবন মিয়া (৪০), রকি মিয়া (২৮), খোকন মিয়া (৪৪) কে জেলে প্রেরণ করা হয়। মামলার বিবরণী সূত্রে জানা গেছে গত ১৩ মে দুপুর ২ টা ২৫ মিনিটের দিকে বাজিতপুর বাজারস্থত ফল মহলের হেলিমের ফলের দোকানের সামনে পাভেল মিয়ার নির্দেশে ১৪ জন দেশিয়অ¯্র সজ্জিত হয়ে ফেনু মিয়াকে রামদা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জকম করে। প্রথমে তাকে বাজিতপুর সরকারি হাসপাতালে নেয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্খা জনক দেখে তাকে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও ফেনু মিয়ার অবস্থা গুরুতর হলে ঢাকা একটি হাসপাতালে প্রায় ১ মাস চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মামলার বাদী রাসেল মিয়া দাবী করেন, তার বড় ভাই ফেনু মিয়াকে রিপন মিয়া, স্বপন মিয়া, রুনাল মিয়া, হত্যা করায় তাদের কঠুর বিচার দাবী করেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার একই ইউনিয়নে পার্শ¦বর্তী নিকলী থানার গুরই ইউনিয়নে গুরই গ্রামের কুখ্যাত চোর জসিম উদ্দিন (৩২)কে বাজিতপুর থানার পুলিশ ছোট পিউরি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন। পরে গত কাল শুক্রবার সকালে তাকে কিশোরগঞ্জ কোর্টে চালান দিয়েছেন বাজিতপুর থানার পুলিশ। বাজিতপুর থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ফেনু হত্যা মামলার ১১ জন আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন বলে স্বীকার করেন।