নীলফামারীর সৈয়দপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তা আতাউর রহমানকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার রাতে এসআই রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ব্যবসায়ী আতিফ হোসেন (২৬) ও আতিক হোসেনকে (২৪) আসামি করা হয়েছে। আসামীদ্বয় সৈয়দপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনের ছেলে। তারা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। থানা সূত্রে জানা গেছে, কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কের সিএসডি মোড়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন আতিফ আলতাফ। সরকারের বিধি নিষেধ অমান্য করে এভাবে গাড়ী চালানোয় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাঁর গতিরোধ করেন। বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে ঘটনাস্থলেই তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম তাঁকে ১০০০ টাকা জরিমানা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জরিমানা পরিশোধ না করেই গাড়ি নিয়ে চলে যান ব্যবসায়ী আতিফ। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে আরেকটি গাড়ি নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ ধাওয়া করে আতিফকে শহরে বঙ্গবন্ধু সড়কের বিসিক শিল্পনগরীর কাছে ধরে ফেলে পুলিশ। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত পরিদর্শক আতাউর রহমানের গায়ে হাত তোলেন আতিফ। পিটিয়ে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে। সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত অমান্য, পুলিশের গায়ে হাত তোলা ও লকডাউন ভাঙার মতো একাধিক অপরাধ সংঘটিত করার কারণে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দুজন আসামি গ্রেফতার রয়েছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির অর্থদন্ড আদেশ বহাল রয়েছে। তিনি সকলকে সরকারের বিধি নিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানান।