নাটোরের বড়াইগ্রামে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় পানির স্রােতে নির্মাণাধীন একটি ফুটওভার ব্রিজের গাইডওয়ালসহ একাংশ ধ্বসে পড়েছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নে নেংটাদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঠিকাদারের দুর্নীতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে অতি প্রয়োজনীয় এ ব্রিজটি ধ্বসে পড়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, নেংটাদহ গ্রামে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বড়াল নদীতে একটি ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে। ২৪ ফুট দীর্ঘ ও সাড়ে ছয় ফুট প্রস্তের এ ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা। নাটোরের ঠিকাদার আজিজুল ইসলাম কাজটি করছেন। কিন্তু কোন প্রকার পাইলিং ছাড়া নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে নির্মাণ কাজ করায় ব্রিজটি নিয়ে শুরু থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে আপত্তি ছিলো। শুক্রবার বিকালে হঠাৎ করেই নদীতে প্রবাহমান পানির স্রােতে ব্রিজটির উত্তরাংশের গাইডওয়ালটি ধসে পড়ে।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটি নির্মাণের সময় লোকজনের চলাচলের জন্য নদীর মধ্য দিয়ে মাটি ফেলে একটি পায়ে হাঁটা রাস্তা করা হয়েছিল। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদীতে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। একপর্যায়ে পানির চাপে মাটির রাস্তা ভেঙ্গে স্রােতের সৃষ্টি হলে পাইলিংবিহীন ব্রিজটির গাইডওয়ালসহ উত্তরাংশ ধসে যায়।
নেংটাদহ গ্রামের নাজমুল হক বলেন, মাটির নীচে ৮-১০ ফুট গর্ত করে ঢালাই দিয়ে পিলার করা দরকার ছিলো, কিন্তু তা না করে মাটির ফুট খানেক নীচ থেকে ঢালাই দিয়েছে। এ ছাড়া নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হয়েছে, তাও পরিমাণে কম দিয়েছে। আমরা শুরু থেকেই প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি। নিম্নমানের কাজের কারণেই ব্রিজটি ভেঙ্গে গেলো।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার আজিজুল ইসলামের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মোবাইল (০১৭১৩-৭১৫৯৬৬) বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বড়াইগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারকে নদীর পানি শুকিয়ে গেলে নতুনভাবে ওই গাইডওয়ালটি করে দিতে বলেছি। ঠিকাদার কাজ বুঝিয়ে না দিলে তাকে কোন বিল দেয়া হবে না।