রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯২০ জনের। এনিয়ে বিভাগে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।এদিকে গত ২৪ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩১৪ জন। শনিবারের তুলনায় বিভাগে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তের হার বেড়েছে। রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের চারজন, লালমনিরহাটের তিনজন, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজন, পঞ্চগড়ের দুইজন, দিনাজপুরের দুইজন, কুড়িগ্রামের একজন ও গাইবান্ধার একজন রয়েছেন।এ সময়ে বিভাগে ৩ হাজার ৩৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরের ২০০ জন, দিনাজপুরের ১৮২ জন, কুড়িগ্রামের ১২৮ জন, নীলফামারীর ১১২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১০২ জন, গাইবান্ধার ৮৫ জন,
পঞ্চগড়ের ৮২ জন ও লালমনিরহাটের ২৯ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।নতুন করে মারা যাওয়া ১৬ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩৮ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৫৬ জন, রংপুরে ১৭৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৬০, নীলফামারীতে ৬৩, পঞ্চগড়ে ৫১, লালমনিরহাটে ৫০, কুড়িগ্রামে ৪৬ ও গাইবান্ধায় ৩৯ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৪২ জন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুুরে ১১ হাজার ৮৮৫ জন, রংপুরে ৮ হাজার ৭৭৭ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ হাজার ৫৪১ জন, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৩৯০ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ১৪৮ জন, কুড়িগ্রামের ২ হাজার ৯৯৭ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ৭৭ জন এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ২৫১ জন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ২ হাজার ৪৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোত বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে চলার বিকল্প নেই।