করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় রংপুরে খোলাবাজারে বিশেষ ওএমএস’র চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ১ হাজার পাঁচশ ভোক্তা ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি করে চাল ও আঠারো টাকা দরে আটা কিনতে পারবেন। মূলত অসহায়, দুস্থ, নি¤œআয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য বিশেষ এই কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে নগরীর রবার্টসনগঞ্জ স্কুল মাঠে বিশেষ ওএমএস’র কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভুঞা। রংপুর জেলা খাদ্য বিভাগ এর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উদ্বোধনকালে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার বিভিন্নভাবে অসহায় মানুষদের সাহায়্য করে আসছে।বর্তমান সংকট মোকাবেলায় খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রির জন্য ওএমএস কার্যক্রম শুরু করেছে। যাতে করে খেটে খাওয়া মানুষ অল্প দামে এই চাল-আটা কিনতে পারেন। আগামীতেও এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
সরকারের এই বিশেষ কার্যক্রমে কোন ধরণের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না জানিয়ে কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা বলেন, ডিলারের বিরুদ্ধে যদি এই চাল নিয়ে দূর্নীতির চেষ্টা করেন, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাই সচ্ছতার সাথে এই কার্যক্রম চলুক। বিভাগের প্রতিটি জেলা ও পৌরসভা এলাকায় ওএমএস’র চাল-আটা বিক্রি করা হবে। এজন্য সরকারের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্যশষ্য মজুদ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুস সালাম, রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা প্রমুখ।
রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের জানান, রংপুর সিটি করপোরেশন ছাড়াও হারাগাছ, বদরগঞ্জ ও পীরগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ওএমএস’র চাল ও আটা বিক্রি করা হবে। সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিদিন তিনটি ট্রাকে কওর সাত হাজার পাঁচশত কেজি চাল ও এক হাজার পাঁচশত কেজি আটা বিক্রি করা হবে। আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।