খুলনার পাইকগাছায় বয়স জালিয়াতি করে মেয়ে বিবাহ দেয়ার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী কন্যার পিতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। এ ঘটনাটি উপজেলার কপিলমুনি ইউপির কাশিমনগর গ্রামে। মেয়ের পিতা আবুল হোসেন। সংশ্লিষ্টিরা জানিয়েছেন, মেয়ের পিতা বয়স জন্ম নিবন্ধনে ১৮বছর ৬মাস দেখিয়ে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামের কামরুল সরদারের ছেলে মেহেদী হাসান রনি (২১) এর সাথে বিবাহ দেন। গত ২১ জুন নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে খুলনায় এ বিবাহ হয়। অভিযোগ উঠে নাবালক মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের তারিখ, নিবন্ধন নম্বর ও ইস্যুর তারিখ সহ কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যানের সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বয়স বৃদ্ধি করা হয়েছে। সূত্রের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্ঞাত হওয়া মাত্রই তারই নির্দেশে শুক্রবার বিকেলে উপজেলা আনছার ও ভিডিপি'র প্রশিক্ষক মো. আলতাফ হোসেন ও ইউপি লিডার ফয়সাল হোসেন মেয়ের পিতাকে আটক করে আনেন। ইউএনও বিয়ের কাগজপত্র উদ্ধার করে মেয়ের পিতা আবুল হোসেনকে থানা পুলিশের কাছে হস্তাস্তর করেন।