ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) কর্তৃপক্ষ। তবে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হননি। কিন্তু ঈদে ঘরে ফেরা পরিবহনের মাধ্যমে রাজশাহীতে ডেঙ্গু আসতে পারে এমন চিন্তা থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগাম প্র্রস্তুতি নিয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, করোনা সংক্রমনের মধ্যেই ডেঙ্গু রোগে ঢাকায় ইতোমধ্যে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও সেখানে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যে কারণে বিষয়টি মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, করোনার পাশাপাশি আমরা ডেঙ্গু রোগেরও পরীক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছি। তবে আশার কথা হচ্ছে এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী পাইনি।
এ বিষয়ে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য প্রতিটি উপজেলায় কীট দেওয়া হয়েছে। জ¦র নিয়ে আসা রোগীদের লক্ষণ বুঝে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ অন্যান্য পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গুরও পরীক্ষা করছেন। যে পরীক্ষা সরকারিভাবেই ফ্রি করানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি।
এদিকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত না হলেও রাজশাহীতে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। দিনের বেলাতেও বাসা বাড়িতে কয়েল জ¦ালিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) পরিচ্ছন্ন বিভাগ মশক নিধন কার্যক্রম চালু রাখার কথা বললেও বাস্তবে মিল পাওয়া যাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে নগরবাসীর অভিযোগ, সারা বছরই নাগরিক সেবার কথা বলে সরকারি অর্থ লোপাট হয় এটা নতুন কিছু নয়। তবে মশা নিধন কার্যক্রম যে একেবারেই চলেনা তা-ও নয়, বেছে বেছে প্রভাবশালীদের বাড়ির আশে পাশেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আর রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দলের হলে তো কোন কথা-ই নাই। অথচ সকল নাগরিকই প্রতি বছর সরকারকে ট্যাক্স প্রদান করে থাকেন।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাসিকের প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন ডলার রোববার (২৫ জুলাই) বিকেলে বলেন, মসক নিয়ন্ত্রণে আমরা সারা বছরই কাজ করে থাকি। এখন মশক নিধনে প্রতিটি ড্রেনে সপ্তাহে একবার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। ঝোপঝাড়ও পরিস্কার করা হচ্ছে। লার্ভাও ধ্বংস করা হচ্ছে। তার কথার প্রেক্ষিতে কোথায় কোথায় এসব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বা হয়েছে তার দু’একটি উদহরণ জানতে চাইলে বলেন, বর্ষাকালে ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন সম্ভব নয়। আর ঝোপঝাড় পরিস্কার বাড়িওয়ালাদের নিজ দায়িত্বে করতে হবে। ডেঙ্গুর লার্ভার অস্তিত্ব কোথায় কোথায় পাওয়া গেছে জানতে চাইলে বলেন, এটি ডিজি হেলথ বলতে পারবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএফএম আঞ্জুমান আরা কল রিসিভড করেনি নি।