কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব ও মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোরকে তুলাধুনা করলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান কাজল। দলে জামাত-বিএনপি নেতাদের ঠাঁই দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে সোমবার বিকেলে মুরাদনগর প্রেসক্লাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সম্মেলনে আতিকুর রহমান কাজল বলেন, ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নানাবিধ অসাংগঠনিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছেন। যার ফলে সংগঠনের ভাবমূর্তি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
প্রথমত তিনি কমিটি দিচ্ছেন, কিন্তু কাউকে কমিটির স্বাক্ষরিত অনুমোদনের কাগজ দিচ্ছে না এবং একাধিকবার বিভিন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে মুরাদনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি গঠন করেন। যার ফলে নিজেদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সর্বোপরি বিগত ৪ মাস পূর্বে আতিকুর রহমান হেলালকে সভাপতি ও আমাকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। আমাদের এই কমিটি সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি আমাকে বাদ দিয়ে আমার কমিটির সহ-সভাপতি আলা-উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ-সম্পাদক বানায়।
দ্বিতীয়ত হচ্ছে, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি বিএনপি’র সাবেক এমপি কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের মদদপ্রাপ্ত চিহ্নিত চাঁদাবাজদের দলে ঢুকিয়ে পদ-পদবী প্রদান করেছেন তিনি। এ নিয়ে তাঁর সাথে আমার মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে তিনি আমাকে বাদ দিয়ে আমার কমিটির সহ-সভাপতি আলা-উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ-সম্পাদক বানিয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শুধু আমাকেই নয় সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার সমরেজকে বাদ দিয়ে শিবিরের সাবেক এক কর্মীকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেন। তাৎক্ষনিক বিষয়টি আমি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোসলেম উদ্দিনকে অবগত করি। আহসানুল আলম সরকার কিশোর মুরাদনগরের এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুণসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নিয়ে দলীয় নৌকা প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যান হন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দায়িত্ব পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপির সাবেক এমপি কায়কোবাদের এজেন্ড বাস্তবায়ন করছেন। তাঁর পিতা কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার যেসব নেতা-কর্মীকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করতেন, কিশোরের এহেন কর্মকা-ের কারণে আজ তারাও তাঁর সাথে নেই।
সম্মেলনে আতিকুর রহমান কাজল বিষয়টির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।