কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নওগাঁর পোরশায় গ্রামপুলিশের দায়িত্ব পালন প্রশংসনীয়। সরকারি বিধিনিশেধ পালনে স্থানীয় প্রশাসন যেমন কঠোর অবস্থানে তেমনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছেন গ্রামপুলিশ সদস্যগণ। লকডাউনের প্রথম দিন থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও মোড় এলাকায় প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা ইউএনও নাজমুল হামিদ রেজা এবং সহকারি কমিশনা(ভূমি) জাকির হোসেনের নির্দেশনায় সরকারি বিধিনিষেধ পালনে কাজ করছেন তারা। ফলে উপজেলায় করোনা সংক্রমনের হার কিছুটা হলেও কম দেখা গেছে। সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য, আনসার, বিজিবি সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করলেও গ্রামপুলিশ সদস্যগণ কাজ করছেন সকাল থেকে সন্ধাবদি। সরকারি বিধিনিষেধ পালনে জনগণকে সচেতন করে করোনা সংক্রমন রোধই যেন তাদের একমাত্র কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। বর্তমান লকডাউনে এ উপজেলার করোনা সম্মুখ যোদ্ধা তারা। নিতপুর ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ সদস্য নুর আমিন ও আবদুস ছাত্তার জানান, করোনা কালিন লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নে প্রশাসনের সাথে কাজ করছেন তারা। এ মহুর্তে উপজেলার জনগণ যাতে করোনামুক্ত থাকতে পারে সেটি তাদের লক্ষ্য বলে তারা জানান। এছাড়াও করোনা প্রতিরোধে তাদের দায়িত্ব পালনের প্রশংসা করছেন অনেকে। উপজেলার ছাওড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন আলী আহম্মেদ জানান, প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে গ্রামপুলিশ সদস্যগণ তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা প্রতিরোধে সকাল-সন্ধা কাজ করছেন। তাদের দায়িত্ব পালন অবশ্যই প্রশংসনীয়। যা জনপ্রতিনিধিরা করতে পারছেন না। করেনায় কর্তব্যরত গ্রামপুলিশদের প্রনোদনার আওতায় আনার দরকার বলে তিনি মনে করছেন। ইউএনও নাজমুল হামিদ রেজা জানান, লকডাউনের ৫ম দিনেও স্বেচ্ছাসেবকসহ সকলেই যার যার অবস্থান থেকে লকডাউন বাস্তবায়নে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে সীমিত সামর্থ্য নিয়ে পোরশার গ্রামপুলিশের সকল সদস্য যেভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্যদের শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিনি সবাইকে ঘরে থাকতে এবং প্রয়োজনে বের হতে হলে মাস্ক ব্যবহার করতে বলেন। আর এই কঠোর লকডাউনে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকবেন বলে তিনি সতর্কও করেন।