ফরিদপুরের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কর্মীরা করোনা প্রতিরোধে কাজ করেতে গিয়ে রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
এপর্যন্ত ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিভিল সার্জনের অধিনস্থ নয় উপজেলায় এ পর্যন্ত ৬৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে আছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য সহকারি, নাস, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীগন।
এদের মধ্যে চিকিৎসক রয়েছে ৫৯ জন, নার্স ও ওয়ার্ড বয় রয়েছেন ১৬২ জন এ ছাড়া স্বাস্থ্য সেবাকাজে নিয়োজিত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন।
করোনা ডেডিকেটেড ৫১৭ শয্যার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান জানান, করোনা শুরু থেকে এ পর্যন্ত কোভিড রোগীদের সেবাকাজে নিয়োজিত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসহকারি, নার্স-ওয়ার্ড বয়, অ্যাম্বুলেন্স চালক,পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ অন্যানো মিলে মোট ৩৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে চিকিৎসক রয়েছে ২৬, নার্স-ওয়ার্ড বয় ১১৩ জন।
তিনি জানান, ওই হাসপাতালে বৃহত্তর ফরিদপুরসহ, পার্শ¦বর্তী কুষ্টিয়া, ঝিনাইদা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরার থেকে আসা করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। করোনার এই দুর্যোগের সময়ে স্বাস্থ্য সেবা কাজে নিয়োজিত প্রত্যেক কর্মীই নিজের ঝুকি নিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি কোন রোগীকে ভিন্ন ভাবে না দেখে সকল রোগীকে সমান ভাবে সর্বচ্চ সেবা দেওয়ার।
বিএমএ ফরিদপুর শাখার সভাপতি ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো বলেন, শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর স্বাস্থ্য সেবা কাজে নিয়োজিত অনেকই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ফরিদপুর ডায়বেটিক সমিতি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪০ জন সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সরকার স্বাস্থ্য সেবা কাজের কর্মীদের করোনাকালে প্রেণোদনা দেওয়ার ঘোষনা দিলেও তা ফরিদপুরের বাস্তবায়ন হয়নি। বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া দাবী জানান তিনি।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডা. অনন্ত কুমার বিশ্বাস জানান, এই ওয়ার্ডে অধিক ঝুকিপূর্ন কাজ করা হয়। করোনা আক্রান্ত সব থেকে মূমুর্ষ রোগীদের সেবা দেওয়া হয় আইসিইউতে। এখানকার প্রত্যেকটি স্বাস্থ্যকর্মী সব সময় জীবনের ঝুকি নিয়ে কাজ করে থাকে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালসহ নয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ করোনা কাজে নিয়োজিত ২৯৮ জন এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে আমি-সহ চিকিৎসক রয়েছেন ৩৩ জন, নার্স-ওয়ার্ড বয় রয়েছে ৪৯ জন, এছাড়াও অন্যানো বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন।