মণিরামপুরে দোকান ভাড়ার অগ্রিম টাকা লেনদেন ও ফেরৎ চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৫ ব্যবসায়ীর ওপর হামলা এবং ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার মদনপুর কলেজ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত ব্যাবসায়ীদের উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত ব্যবসায়ীরা হলেন, উপজেলার সালামতপুর গ্রামের ফ্লাক্সিলোড ব্যবসায়ী শামীম হোসেন, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রিপন হোসেন, পোল্ট্রি ব্যবসায়ী চঞ্চল, আলমগীর ও রাব্বী হোসেন। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আলম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উল্লেখিত পাঁচ ব্যবসায়ীর উপর হামলাসহ দোকান ভাংচুরের পাশাপাশি হামলাকারীরা তার ডাক্তারখানার মধ্যেও ভাংচুর চালিয়েছে। তবে এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দাখিল হয়নি।
ডাক্তার আলম হোসেন আরও বলেন, মদনপুর কলেজ মোড়ে একটি মার্কেটে শামীম হোসেনের মাটির নিচে নির্মাণ করা আন্ডরগ্রাউন্ড ঘর ভাড়া নিতে স্থানীয় রোহিতা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আবু আনসার আলী দুই লক্ষ টাকা অগ্রিম জামানত দেন। পরে তিনি ওই ঘরভাড়া নিবেননা মর্মে শামীম হোসেনের নিকট দেয়া অগ্রিম টাকা ফেরৎ চান ওই ইউপি চেয়ারম্যান।
হামলার শিকার ব্যবসায়ীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ইউপি চেয়ারম্যান আনসার আলী মোবাইলে বিভিন্ন স্থান থেকে তার লোকজন ডেকে এনে ব্যবসায়ীদের উপর হামলা এবং ভাংচুর চালায়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আনসার আলী বলেন, তিনি আট মাস পূর্বে ঘর ভাড়া নিতে শামীম হোসেনকে দুই লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়েছেন। উক্ত টাকা ফেরৎ চাইলে শামীম বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে। এদিনও শামীমের নিকট পুনরায় টাকা ফেরৎ চাইলে তর্কে জড়িয়ে শামীম প্রথমে আমাকে ধাক্কা দেয়।
এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতা-কর্মীসহ তার পক্ষের লোকজন এসে শামীমসহ কয়েকজনকে সামান্য মারপিট ও ভাংচুরের করেছে।
মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি সোমবার রাতে মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।