ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুব আলী পদ্মার চরাঞ্চলের প্রায় ৪শ’ বিঘাত (১৪০ একর) জমির কাঁশবন ভেঙে আগাছা মারাই করে কলাচাষে সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। উপজেলা চরহরিরামপুর ও গাজীরটেক ইউনিয়নের পদ্মা নদী ঘেষে চর হাজারবিঘা, হরিরামপুর চর, চরশালেপুর ও সামাদ মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের প্রায় ১৪০ একর জমির বড় বড় কাশবন ভেঙে তিনি আবাদযোগ্য করে গড়ে তোলেছেন। এসব নিষ্ফলা জমিতে তিনি সবরী কলা চাষ করে বাম্পার ফলনও পেয়েছেন। ওই চেয়ারম্যানের দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষক পদ্মা চরের কাশবন ভেঙে গড়ে তোলছেন কলা বাগান। এতে উপজেলার শত শত একর অনাবাদী জমি হয়ে ওঠছে আবাদযোগ্য।
জানা যায়, ওই চেয়ারম্যান ২০১৫ সাল থেকে পদ্মার চরের পৃথক আট খন্ডের জমির কাশবন ভেঙে গড়ে তোলেছেন ৮টি কলা বাগান। প্রতি বছর পদ্মা চরের তার বাগান থেকে মোট ১ লাখ ১২ হাজার ছড়া কলা উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি ছড়া কলা ৩৬০ টাকা থেকে ৪শ’ টাকা করে বছরে প্রায় ৪ কোটি টাকা কলা বিক্রি করে চলেছেন বলে ওই চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানায়, উপজেলা পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের পতিত কাশবনগুলো মালিকানাধীন কৃষকদের কাছ থেকে তিনি পাঁচ বছর মেয়াদী লীজ নিয়েছেন। পদ্মা নদীর চারটি চরের ১৪০ একর পতিত জমিতে তার আটটি কলা বাগান রয়েছে। মৌসুমের চৈত্র-বৈশাখ মাসে কলা আবাদ শুরু করতে হয়। আটটি কলা বাগানে রয়েছে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার সবরী কলা গাছ। প্রতিটি কলা বাগানের চারপাশ দিয়ে রয়েছে পদ্মা নদী। তাই কলা বাগানে সেচের জন্য নদী পাড়ে বসানো হয়েছে ১৭টি পানি সরবরাহর মেশিন।
তিনি জানান, এক ছড়া কলা উৎপাদন করতে খরচ হয় প্রায় ১২০ টাকা। আর প্রতি ছড়া কলা বিক্রয় হয় সাড়ে ৩শ’ টাকা থেকে ৪শ’ টাকা দরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেপারীরা এসে বাগান থেকে ট্রলার বোঝাই করে কলা কিনে নিয়ে যান। ওই চেয়ারম্যান আরও জানান, বিগত কয়েক বছর কলা চাষ করে লাভবান হলেও গত বছর বন্যায় পানিতে ডুবে সবগুলো কলাগাছ মরে গিয়েছিল। এ বছর আবার নতুন করে কলা গড়তে হয়েছে বিধায় খরচের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। তিনি কলা উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কামন করেছেন।