গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া সহ আশে পাশের এলাকায় এক নামে পরিচিত দেলোয়ার হোসেন। সবাই ডাকেন দেলোয়ার চাচা বলে। পত্রিকা নেওয়ার কথা ভাবলেই দেলোয়ার চাচার কথাই মনে পরে সবার। দেশ স্বাধীনের আগে থেকে গাইবান্ধা তথা সাঘাটা, ফুলছড়ি ও আশে পাশের এলাকায় পত্রিকা বিক্রি করেন তিনি। তখন হাতে গোনা কয়েকটি পত্রিকা রাজধানী ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে তিস্তামুখ ফেরিঘাট হয়ে বোনারপাড়া রেলস্টেশনে আসতো। তখন এ এলকায় একামাত্র পত্রিকা বিক্রির সেন্টার ছিলো দেলোয়ারের রেলওয়ে বুক স্টল। সাড়াদিন পত্রিকা নিয়ে ব্যন্ত সময় কাটতো তার।
এখন বয়সের ভারে আক্রান্ত হয়ে দুই বৎসর চার বছর আগে ব্রেইনে রক্তক্ষরণ হয়ে নানা জটিলতায় আক্রান্ত হন তিনি। ছেলে মশিউরকে দায়িত্ব দেন পত্রিকা বিক্রির। ছেলের পত্রিকা বিক্রি করা আয় থেকেই কোন মতে সংসার চলে তার। এখন শরীর আর তেমন চলে না।
সত্তোর দশকের আগে পত্রিকা বিক্রিতে নিয়োজিত হন গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম গাছাবাড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন। প্রায় ৬০ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চলেছে তার। অনেক কষ্টে এখন কোন মতে উঠে বসতে পারেন তিনি। তারপরও বর্তমানে ৯০ বছর বয়সেও মনোবল হারাননি। কষ্ট করেই পত্রিকা পড়েন নিয়মিত। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বাবা রে সেই দিন আর নেই মানুষ ভালোবেসেই তার কাছে পত্রিকা নিয়েছেন নিয়মিত। বৃদ্ধ বয়সে তার খোঁজ কেউ নেয়না বলে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ছেলের সংসারে কোনমতে দিন পার করছি। তার বড় ছেলে মশিউর রহমান জানান, বাবা একটু অভিমানী। ওনার ব্যাপক চেনা জানা পরিচিতজনরা কখনো দেখতে আসেন না ওনাকে। তাই একটু আক্ষেপ করেন মাঝে মাঝে।