বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অপচিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক হাতুরে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। হাতুরে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মারাগেছে বলে রোগীর স্বজনেরা জােিয়ছে, গুতর অসুস্থ হয়ে ওই গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
স্থানীয় ও রোগীর স্বজনেরা জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার আমবৌলা গ্রামের প্রবাসী গোলাম মওলা’র স্ত্রী লিয়া বেগম ৭ মাসের অন্তসত্ত্বা ছিলেন। শরীরে হালকা জ¦রের উপসম দেখা দিলে ২৬ জুলাই শনিবার পয়সার হাটের শহিদ মেডিকেল হল ফার্মেসীতে হাতুরে চিকিৎসক রিপন হালদারের কাছে যায়। ওই চিকিৎসক অন্তসত্ত্বা গৃহবধূকে চিকিৎসাপত্রদেয়। চিকিৎসাপত্রে হায়ার এন্টিবায়টিক ইনজেকশনসহ ওষুধ লিখে। অন্তসত্বা গৃহবধূকে হায়ার এন্টিবায়টিক ইনজেকশন পুশ করার পর অসুস্থ হয়ে পরে। ২৭ সকালে আবারো ইনজেকশন পুশ করা হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে অন্তসত্বা গৃহবধূ লিয়া। বিষয়টি ফোনে ওই চিকিৎসককে জানালে তিনি রোগীকে অ্যালজিন নামক একটি ওষুধ খাওয়াতে বলেন। তাতে রোগীর অবস্থা অবনতি হওয়ায় গুরুতর অবস্থায় সোমবার উপজেলার পয়সার হাট আদর্শ জেনারেল হাসপাতাল এ- ডায়াগণষ্টিক সেন্টার নামের একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোকসেদ হাসান অন্তসত্বা গৃহবধূকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে গর্ভের সন্তান মৃত বলে জানায়। গৃহবধূর অবস্থা আরো খারাপ হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাতুরে চিকিৎসক রিপন হালদার সাংবাদিকদের বলেন, রোগীকে কোন ধরণের এন্টিবায়টিক লেখার কোন এখতিয়ার আমাদের (পল্লী চিকিৎসকের) নেই। তবুও আমরা রোগীর ভালো করার স্বার্থে লিখে থাকি। গর্ভের সন্তার মারা যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা যে কোন কারনেই হতে পারে। তবে আমার কারণে ওই গৃহবধূর গর্ভের সন্তান মারা যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার বখতিয়ার আল মামুন জানান, কোন পল্লী চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে এন্টিবায়টিক লিখতে পারবে না। অভিযুক্ত ওই পল্লী চিকিৎসকের অপচিকিৎসায় গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।