ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিআউডব্লিউটিএর ঘাট ইজারাকে কেন্দ্র করে দু-গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।যেকোন সময় বড়ধরনের সংঘর্সেও আশংকা করছেন এলঅকাবাসী। আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট ইজারাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বন্দর থেকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন বর্ড়ার পর্যন্ত ফোর লেনের নিমানাধীন কাজে বিঘœ ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এ বিষয়ে বুধবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়,বিআইডব্লিউটিএ,পলিশ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতর্কিত স্থান পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট নতুন ইজারাদার শরীফ আলম বলেন,সরকারী নিয়ম মোতবেক আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট ইজারা পেয়েছি।ইজারা পেয়ে সরকারী নিয়ম মোতাবেক টোল আদায় করতে গেলে আগের ইজারাদার ইমরান মোল্লা এবং তার ভাই মহি উদ্দিন মোল্লা আমার লোক ইকবাল রনিকে গত ২৫জুলাই বিওসিঘাট বাশবাজার এলাকার ফোর লেনের পাথর লোড আনলোড বন্ধ করে দেয়॥ পাশাপািশ ১৫লক্ষ টাকা চাদা দাবী করে।অন্যথায় মালামাল লোড-আনলোড বন্ধ থাকবে হুমকি দেয়। এইু অবস্থায় আশুগঞ্জ থানায় আমার লঞ্চঘাট ইজারার কর্মচারী ইকবাল রনি বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দয়ের করে।তিনি বলেন,আমি নিয়ম অনুযায়ী ঘাট ইজারা পেয়ে যদি আমি আমার কাজ করতে না পারি তবে দেশে আইন বলে কিছু আছে কি না তা আমার জানা নাই।আমি চাই নিরাপদে আমার কাজ করতে। এজন্য তিনি আইনশৃংখলা বাহিনীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যদি চাদা দিয়ে কাজ করতে হয় তাহলে দেশের নিরীহ মানুষ কোথায় যাবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইমরান মোল্লা বলেন,গত ২৪জুলাই ফোরলেনের জন্য পাথরবাহী আমার একটি জাহাজ বিওসিঘাট সংলগ্ন বাশবাজারের নিকট নোঙ্গর করে। এই জাহাজের পাথর নামাতে গেলে শরীফ আলম এবং নাজমুল হোসাইন হামদুসহ তার লোকজন আমাকে পাথর নামাতে না দিয়ে আমাকে জোর করে ঘাট থেকে সরিয়ে দেয়।আমি আইনশৃংখলাবাহিনীর কাছে মামলা করতে গেলে ওসি আমার মামলা নেয়নি। ্আমি পাথর লোড আনলোড করতে পারছি না। আমার দাবী সরকার যেন আমার পাথর লোড-আনলোডের ব্যবস্থা করে দেয়।
ফোরলেনের পাথর সরবরাহকারী নাজমুল হোসাইন হামদুু বলেন,ইমরান মোল্লার সাথে করা চুক্তি বাতিল করে আমাকে ফোরলেনের পাথর সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে ফোরলেনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাক শিপিং লজিষ্টির্ক কর্তপক্ষ । এখানে ইমরান মোল্লা গায়ের জোরে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত মোহাম্মদ জাবেদ মাহমুদ,ইমরান মোল্লার অভিযোগ না নেওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন,ইমরান মোল্লার অভিযোগ থাকলে যে তার অর্ডার বাতির করছে তার বিরোদ্ধে করবে।ইমরান মোল্লা তা না করে পাথর সরবরাহের নতন যাকে দিয়েছে তার বিরোদ্ধে করছে। তাই আমি ইমরান কে তার অভিযোগ পরিবর্তন করে আনার বলছি।
অপরদিকে আশুযগঞ্জ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ^াস বলছেন,ঘাট ইজারর বিষয় সম্পুর্ন বিআইডব্লিউটিএর। বিআইডব্লিউটিএ বিষয়টি দেখবে।
বিআইডব্লিউটিএর আশুগঞ্জ-ভৈরব বন্দর ও পরিবহনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন,আশুগঞ্জ লঞ্চঘাটের ইজারা দেওয়া হয়েছে মেসাহাম্মদ শরীফ আলমকে।এখানে য়দি কেউ জহামেলার সৃষ্টি করতে চাই তবে বিরোদ্ধে আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিব।