আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি হাজীরহাটে ক্লিনিক ও জুয়েলার্স-এ দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
জবেদা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী গ্রাম ডাক্তার আলহাজ¦ গাওছুল হক জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে তিনি তার চেম্বার বন্ধ করে বাড়িতে যান। মঙ্গলবার সকালে এসে চেম্বারের শার্টারের তালা খুলতে গিয়ে তালাটি আঘাত দিয়ে খোলা অবস্থায় দেখতে পান। চেম্বারে প্রবেশ করে দেখতে পান তার সকল ঔষধপত্রসহ চেম্বারের সবকিছু এলোমেলো করা ও চেম্বারে রাখা স্মার্টফোনটি নেই। ফোনটির আনুমানিক মূল্য ১৩ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, ফোনটি তিনি কোনদিন বাড়িতে নিয়ে যেতেন না। চেম্বারে রোগী দেখার সময় ওষুধ নির্ণয়সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতেন।
একই বাজারের কর্মকার জুয়েলার্স এর স্বত্বাধিকারী উত্তম কুমার কর্মকার জানান, তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দোকান খুলে ভিতরে ময়লা আবর্জনা দেখতে পান। দোকানের উপরের দিকে তাকিয়ে দেখেন চালের এ্যালবেস্টার টিন ভাঙ্গা। তিনি আরও জানান, তার দোকানে থাকা আনুমানিক ৮০টি স্বর্ণের নাকফুল যার আনুমানিক ওজন ৮ আনা, রুপার কয়েকটি চেন ও নুপুর যার আনুমানিক ওজন ১০ ভরি এবং ড্রয়ারে থাকা নগদ আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ টাকা চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কাদাকাটি বাজারে চুরির ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অনেক বড় চুরি হয়েছে। তারা এসব চুরি রোধে ও চোর গ্রেফতারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।