রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৭৪৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত ২৮ দিনে বিভাগে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৯ জন।
গতকালের তুলনায় বিভাগে করোনায় মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরের তিনজন, দিনাজপুরের তিনজন, কুড়িগ্রামের দুইজনসহ লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও ঠাকুরগাঁওয়ের একজন করে রয়েছেন।
এ সময়ে বিভাগে ২ হাজার ৬১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দিনাজপুরের ১৮০ জন, রংপুরের ১৭৬ জন, কুড়িগ্রামের ৮১ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৮০ জন, পঞ্চগড়ের ৭৭ জন, গাইবান্ধার ৭০ জন, নীলফামারীর ৫৯ জন ও লালমনিরহাট জেলার ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
নতুন করে মারা যাওয়া ১১ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯৩ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৬৫ জন, রংপুরে ১৯২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৭১, নীলফামারীতে ৬৪, পঞ্চগড়ে ৫৪, লালমনিরহাটে ৫৪, কুড়িগ্রামে ৫১ ও গাইবান্ধায় ৪২ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬০৪ জন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ৯৮৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুুরে ১২ হাজার ৪৪৬ জন, রংপুরে ৯ হাজার ৪৫৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ হাজার ৮৯৬ জন, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৬৭৬ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ৪২৭ জন, কুড়িগ্রামের ৩ হাজার ৩৩২ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ১৬৬ জন এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ৫৮৮ জন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ১৩ হাজার ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এছাড়া ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।