জামালপুরে কঠোর লকডাইনের নবম দিনে সড়ক, মার্কেট ও শপিংমলে বাড়ছে মানুষের ভীড়। জেলা শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিতে গলিতে মানুষের চলাফেরা ছিল চোখে পড়ার মত। সড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার(৩১জুলাই)জেলা শহরের প্রধান সড়কে সিএনজি, অটো রিক্সা, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, ভ্যান, পিক-আপভ্যান,ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল ছিল চোখে পড়ার মত। বিভিন্ন অযুহাতে চালক আর যাত্রীরা বের হচ্ছে সড়কে। জেলা শহরে প্রবেশ দ্বাড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কিন্তু যানবাহনের চালকরা চেকপোস্টের কিছু অদুরে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। যাত্রীরা চেকপোস্টে থাকা প্রশাসনের লোকজনকে নানা অযুহাত দেখিয়ে পায়ে হেঁটে চেকপোস্ট পাড় হয়ে আবার গন্তব্য পৌঁছার জন্য যানবহনে উঠছে। যার ফলে চেকপোস্টের দুই পাশেই যানবাহনের ভীড় লেগে রয়েছে। এসব যাত্রী ও চালকরা মানছে না সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি। তারা ব্যবহার করছে না সুরক্ষা সামগ্রী মাস্ক। এভাবে বিভিন্ন অযুহাতে সরকারের বিধি নিষেধ অমান্য করছে সড়কে মানুষ।
অপরদিকে মার্কেট ও শপিংমলে একই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জামালপুর পৌর শহরের আবেদনচক, মিতালী মার্কেট, ফেন্সি মার্কেট, রওশন জাবেদ কমপ্লেক্স, বিউটি প্লাজাসহ শহীদ হারুন সড়কের ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটে চলছে দেদাচ্ছে কেনা-বেচা। এসব মার্কেট,শপিংমলে প্রবেশ দ্বারে কেঁচি গেইট বা সাঁটার চাপানো থাকলেও ভিতরে চলছে রমরমা ব্যবসা। তারা ব্যবহার করছে না মাস্ক স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী। এভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করছে মার্কেট শপিংমলের ব্যবসায়ীরা। এ যেন প্রশাসন আর ব্যবসায়ীদের চোর পুলিশ খেলা। ব্যবসায়ীদের চোর পুলিশ খেলার লকডাউনে জামালপুরে প্রতিদিন ৫০/৮০জন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। দিনি দিন করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া সচেতন মহল সংকিত হয়ে পড়েছেন।