নিজের বলতে কিছু নেই ,ছেলে রিকশা চালায় বাড়ি ভিটের একখন্ড জমি ছাড়া আর কোন সহায় সম্বল নেই। তার স্বামী মারা গেছেন ৫ বছর আগে আইডি কার্ড অনুযায়ী বয়স ৭০ হলেও প্রকৃত বয়স হবে ৭৫/৮০ এর মধ্যে।এখন পর্যন্ত তার কোনো কার্ড নেই। পাঁচ বছর আগে ফুলবানুর স্বামী ইয়াকুব আলী মারা যাওয়ার পর থেকেই অভাব-অনটনের সংসার চালাতে না পারায় তিনি ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিছেছেন। এখন তার প্রশ্ন বয়স হয়েছে আর আগের মতো হাঁটাহাঁটি করতে পারি না। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার এবং সমাজসেবা অফিসের সাথে যোগাযোগ করেও কোন কার্ড পাইনি।তাছাড়া চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে গেলে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হবে না বলে শুনেছি। সমাজসেবা অফিসে কয়েকবার কাগজপত্র জমা দিয়েছি কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কার্ড পাননি। এখন তার প্রশ্ন হলো মৃত্যুর আগে বয়স্ক, বিধবা ভাতার কার্ড পাবো তো? তার ছেলে রুক্কো মিয়া আগিয়া ইউনিয়নের কালডোয়ার গ্রামে ছেলে,মেয়ে,স্ত্রী ,মা সহ কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে দিনাতি পাত করছেন।ভলো কোনো ঘরও নেই। ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন,কাগজপত্র পেলে আগামি মাসেই তার কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। এখন শতভাগ বয়স্ক, বিধাবা, এবং প্রতিবন্ধী কার্ড এর আওতায় আমাদের উপজেলা এসেছে তাই কার্ড দিতে এখন আর কোন সমস্যা হবে না।আমরা কার্ড দিতে কোনো টাকা নেই না। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো: মহিবুল্লাহ হক বলেন,এই অর্থ বছরে অবশ্যই সে বয়স্ক বা বিধাবা ভাতার কার্ড পাবে।