করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রোধে সরকারি বিধি-নিষেধ মানাতে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে আবারও রাস্তায় নেমেছেন মণিরামপুর জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ। এদিকে জুলাই মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের তুলনায় পরীক্ষা-আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে এবং জনসাধারন করোনা টিকা নিতে বেশি ঝুঁকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও প.প.কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ।
জানাযায়, রোবার সকালে মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে সরেজমিনে যান। এ সময় নেতৃবৃন্দ করোনার ভয়াবহতা তুলে ধরে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর লকডাউন মেনে চলার জন্য দোকানদার এবং সাধারন পথচারীদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পৌর শহরে প্রতিটা মার্কেট ও এলাকা ঘুরে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন। এ সময় সাধারণ জনগণকে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক বাধ্যতামূলক করতে জনগণকে বোঝাতে চেষ্টা করেন। এ ছাড়া দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথের হাতে ২৯টি পালস অক্সিমিটার তুলে দেন।
পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান-এর সাথে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হরে কৃষ্ণ অধিকারী, থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ লিটন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহ্বায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধূরী, প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম প্রমূখ।
বেশি করোনা-উপসর্গ রোগী আইসোলেশনে থাকতো, সেখানে নেমে দাড়িছে মাত্র ৭৫ জনে। তবে টিকা গ্রহনের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। সার্বিক মিলে মণিরামপুরে করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে ভালো।