রংপুরের পীরগঞ্জ আশ্রয়ন প্রকল্প-২ ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারদের কে হস্তান্তর করা হলেও হস্তচালিত নলকুপের স্বল্পতায় খাবার পানির সংকট চলছে। আশ্রয়ন প্রকল্পগুলোতে পর্যাপ্ত নলকুপ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন বাসীন্দারা। এসব পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নলকুপ না থাকায় খাবার পানি সংকটে ভুগছেন। পানি নিয়ে নানা প্রশ্ন তাদের মাঝে। কখন সরকারি নলকুপ বরাদ্দ হবে তাদের জন্য ? এ অপেক্ষায় দিন কাটছে তাদের। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ,পর্যাপ্ত নলকুপ না থাকায় অনেক পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়েও তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘরে উঠতে অনীহা প্রকাশ করছে। পীরগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি আশ্রয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায় আশ্রয়ন প্রকল্প-২ পীরগঞ্জ উপজেলায় ২০৫ টি ঘরের বরাদ্দ দেয়া হলেও সুবিধাভুগেীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নলকুপ দেয়া হয়নি। এমনকি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরও বিষয়টি সম্পুর্নরুপে পাশ কেটে গেছে। কুমেদপুর ইউনিয়নের বগের বাড়ী আশ্রয়ন কেন্দ্রের বাসীন্দা তবারক আলী ঘর পেয়ে বলেন, আমরা এখানে এক সাথে ২০টি পরিবার বাস করছি। সরকারিভাবে একটি মাত্র নলকূপ দেয়া হয়েছে এখানে। সকালে দুপুরে এবং সন্ধ্যায় নলকুপটিতে পানির জন্য লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে প্রতিদিন। এছাড়া পুরুষ মহিলা একসাথে নলকুপটি ব্যবহার করতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়ে। এ যুগে এভাবে চলতে পারে না। তিনি আরও বলেন আমরা গরিব মানুষ অন্যের বাড়িতে কাজকর্ম করে খাই,পানির জন্য অনেকই নলকূপে গিয়ে দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। নতুন করে পৃথক আরও দু একটি নলকুপ বসানো ব্যয়বহুল। যা আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসীন্দাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন আমরা সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত নলকুপ চাই। টিউবওয়েল সংকটের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রানী রায় বলেন সরকারি ভাবে আশ্রয়ন প্রকল্প গুলোতে টিউবওয়েল বরাদ্দ ছিল না। আমরা অন্য বরাদ্দের মাধ্যমে টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করে দেব। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে কথা বললে তারাও বলেন-একটু সময় লাগলেও আমরা এসব নিরীহ জনমানুষের জন্য নলকুপের ব্যবস্থা করে দেব।