গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্ত আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৭৫ জন। এ নিয়ে দুইদিনে বিভাগে করোনা আক্রান্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৫৪ জন।
সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজন, গাইবান্ধার তিনজন, রংপুরের দুইজন, পঞ্চগড়ের দুইজন, দিনাজপুরের দুইজনসহ নীলফামারী ও লালমনিরহাটের একজন করে রয়েছেন।
এ সময়ে বিভাগে ১ হাজার ৯৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ১৫৪ জন, দিনাজপুরের ৯৭ জন, কুড়িগ্রামের ৭৯ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ৬৭ জন, নীলফামারীর ৬১ জন, পঞ্চগড়ের ৪৮ জন, গাইবান্ধার ৪৪ জন ও লালমনিরহাটের ২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
নতুন করে মারা যাওয়া ১৪ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫০ জনে। এর মধ্যে দিনাজপুরে ২৭২ জন, রংপুরে ২০৮ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৮৫, নীলফামারীতে ৬৮, পঞ্চগড়ে ৬০, লালমনিরহাটে ৫৪, কুড়িগ্রামে ৫৪ ও গাইবান্ধায় ৪৭ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৫৭ জন।
বিভাগের আট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৪২৭ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুুরে ১২ হাজার ৮১০ জন, রংপুরে ১০ হাজার ১১৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬ হাজার ২০৬ জন, গাইবান্ধায় ৩ হাজার ৮৯৫ জন, নীলফামারীর ৩ হাজার ৬৭৮ জন, কুড়িগ্রামের ৩ হাজার ৬৪১ জন, লালমনিরহাটের ২ হাজার ২৭৮ জন এবং পঞ্চগড়ের ২ হাজার ৮০৪ জন রয়েছেন।
করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ২ লাখ ১৮ হাজার ৮১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। এ ছাড়া ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা জেলাগুলোয় বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যু।
রংপুরের জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় জানান, গেল জুলাই মাসে রংপুর মহানগর ও জেলার আট উপজেলাতে ৩ হাজার ৯৮০ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের। এদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ রয়েছে। তবে আগের তুলনায় এখন তরুণদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে।
এদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে প্রতি দিন বিভাগের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের হিসাবে ধরছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। বর্তমানে বিভাগের হাসপাতালগুলোতে সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য মিলছে না আইসিইউ শয্যা। রোগী ভর্তির চাপ বাড়াতে অক্সিজেন চাহিদাও বেড়েছে।
রংপুর বিভাগের আট জেলার সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য আইসিইউ শয্যা রয়েছে মাত্র ৪৬টি। এর মধ্যে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ১০টি (সচল ৮টি), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০টি এবং দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি শয্যা রয়েছে।