জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চুরির অপবাদ দিয়ে জালেক শেখ (৫০) নামে এক ব্যাক্তিকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সুজা মিয়ার লোক জনের বিরুদ্ধে।
রোববার (১লা আগষ্ট) বিকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ডেঞ্জার জোন নামে খ্যাত পারপাড়া গ্রামের আজিজুল হক এর দোকানের পার্শ্বে একটি গাছে বেধে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার জালেক শেখ(৫০)সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া গ্রামের মৃত পাগু শেখ এর ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়,ঐদিন বিকেলে জালেক শেখ পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে হা-ডু-ডু খেলা দেখে বাড়ী ফেরার সময় আজিজুল হক এর দোকানের কাছে পৌঁঠিলে একই গ্রামের আয়েজ উদ্দিন এর ছেলে সুজা মিয়া ও তার লোকজন কৃষক জালেক শেখকে গতিরোধ করে ঘিরে ধরে চুরির অপবাদ দিয়ে জালেক শেখকে গাছের সাথে বেঁধে মারপিট শুরু করে। এ সময় তার চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে জালেকের অভিযোগ।
তাকে গাছে বাঁঁধা অবস্থায় স্থানীয় মাতাব্বর আনোয়ার হোসেন খোকা’র সভাপতিত্বে কবিরাজ বাড়ীর শাহজাহান আলী, হাফিজুর রহমানসহ স্থানীয় ব্যাক্তিদের নিয়ে এক গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করে।শালিসের সিদ্ধান্তে নির্যাতনের শিকার জালেকের বড় ভাই আবদুল খালেক শেখ পরে চড় থাপ্পড় দিয়ে রাত ১১টার দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
সালীশে উপস্থিত থাকা আবদুল মালেক ও তালেব শেখ জানান। সাবেক ভাটারা ইউপি সদস্য সুলতান মিয়া বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় আপোশ করকে ব্যার্থ হয়েছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের আবদুল খালেক শেখ জানান, ‘আমার ছোট ভাই জালেককে চড় থাপ্পড় দিয়ে গ্রাম্য সালীশের মাধ্যমে নিয়ে আসছি।
প্রতিপক্ষ সুজা মিয়া জানান, আমার বাড়ীতে জালেক মিয়া বিভিন্ন সময় চুরির চেষ্টা করায় আমরা তাঁঁকে ধরে গাছে বেঁধে এলাকার লোকজনের কাছে বিচার জানাইছিলাম। গ্রাম্য সালীশে জালেক এর বড় ভাই খালেক চড় থাপ্পড় দিয়ে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল তিনি বলেন,বিষয়টি ন্যাক্কারজনক বলে দাবী করেছেন।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মীর রকিবুল হক জানান, ঐদিন ঘটনার স্থলে পুলিশ পঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার পূর্বেই স্থানীয়রা’ ঘটনাটির মিমাংসা করেছে।