আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নাজেহাল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রকৃত তথ্য উদঘাটন পূর্বক অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানান হয়েছে।
বুধহাটা ইউনিয়নের উত্তর চাপড়া গ্রামের মৃত নুরুল আমিনের পুত্র ৩নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নাজমুল হুদা দীর্ঘদিন ইউপি চেয়ারম্যানের হুকুম তামিল তথা সরকারি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে ওয়ার্ডের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে আসছেন। অন্যান্য দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনা মোতাবেক বিধবা, প্রতিবন্ধী এবং বয়স্ক ভাতা ধারীদের প্রয়োজনীয় তথ্য আদানসক সকল প্রকার সহযোগিতা দিয়ে এসেছেন। সংগত কারণে এলাকার মানুষ তাদের সময় নষ্ট না হয় সেজন্য ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম করতে তার সহযোগিতা নিয়ে থাকেন। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি তার কারণে অন্যায় ব্যক্তি স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে বিষোধগার শুরু করেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগ দাখিল করে তা পত্রিকায় দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন ও মর্যাদাহানীর চেষ্টা করে যাচ্ছেন বরে গ্রাম পুলিশ অভিযোগ করেন।
এলাকার ভাতাভোগি গাউছুল, কিনু দাশ, মনোরঞ্জন জানান, তারা তাদের ভাতা পেয়েছেন। চৌকিদারকে কোন টাকা দিতে হয়নি। কেউ দিয়েছেন তাও তারা শুনেনি। রামদেবকাঠির গৌতম তার আব্বার বয়স্ক ভাতা, অজয় দাশ তার মায়ের বয়স্ক ভাতা, সুব্রত দাশ তার মায়ের বিধবা ভাতার টাকা যথাসময়ে পেয়েছে এবং কাউকে টাকা দেয়নি, কাউকে দিতেও দেখেনি বা শোনেনি বলে জানান। বিধবা প্রতিবন্ধী লতিফুন্নেছার চাচাত ভাই হাসান, লতিফুন্নেছার ভাইয়ের ছেলে বউ ফাতেমা, ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলামসহ প্রতিবেশী অনেকে জানান, প্রতিবন্ধী লতিফুননেছা ভাই কবিরের বাড়িতে, কখনো ফাতেমার বাড়িতে থাকে। তারাই তার ভরণ পোষণ দেয়। তাই আগে কবির টাকা নিত। বর্তমানে ফাতেমার এখানে থাকে। এখন আমরা সবাই গ্রাম পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছি টাকা ফাতেমার কাছে দিতে। এখন ফাতেমাই টাকা পাচ্ছে। এখনো কোন আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে তারা দাবী করেন। মহেশ্বরকাটি সেটের শ্রমিক বুলু জানান, ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নিয়েছে। গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের জন্য তাদের থেকে স্বাক্ষর নেইনি। এলাকাবাসী জানান, অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে ভুল বুঝানোর বিষয়টি সত্য। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামরা করেন।