শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ায় চার ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেলেনা পারভীন এ কারাদ-াদেশ দেন। দ-প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার কোন্নগর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের তিন ছেলে লিয়াকত আলী (৪০), এমতাজ আলী (৩৮), আবদুর রাজ্জাক (৩৬) ও একই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (৪২)। এদের মধ্যে বকুল, লিয়াকত ও এমতাজকে দুই মাস করে এবং রাজ্জাককে ২৮ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিব জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে উপজেলায় হতদরিদ্র ও ভূমিহীন ৬৩ পরিবারের মাঝে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ৬০টি ঘরের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নরে উত্তর কোন্নগর গ্রামে ভূমিহীন তিন ব্যক্তির বরাদ্দকৃত ঘরের ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ঘর বরাদ্দের জমি নিজেদের দাবি করে ওই গ্রামের লিয়াকত আলী, এমতাজ আলী, আবদুর রাজ্জাক ও বকুল হোসেন আদালতে মামলা করেন। তারা ওই জমিতে ঘর নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আবেদন জানান। তবে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে জমির কাগজপত্র জমা দেওয়া হলে আদালত নিষেধাজ্ঞা দেননি।
সোমবার বিকেলে তিনটি ঘরের চালা নির্মাণে উপজেলা প্রকল্প কার্যালয় থেকে ঘর নির্মাণের উপকরন পাঠানো হলে অভিযুক্ত ওই চার ব্যক্তি ঘর নির্মাণে বাধা দেন। বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ইউএনও হেলেনা পারভীন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা বিশ্বাস আইনশৃংখলা বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় ওই চার ব্যক্তি সরকারি খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করতে দেবেন না বলে জানান। পরে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্ত চারজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বলেন, সরকারি খাস জমিতে তিন ভূমিহীন পরিবারকে সরকারি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘরের ৭০ ভাগ কাজ শেষ করা হয়েছে। চার ব্যক্তি ওই জমি নিজের দাবি করে মামলাও করেন। সেই মামলার জবাবও দেওয়া হয়েছে। সোমবার ঘরের চালার জন্য কাঠ ও টিন পাঠানো হলে ঘর নির্মাণে ওই ব্যক্তিরা বাধা দেন।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা বিশ্বাস বলেন, ইতোমধ্যে ভূমিহীন ওই তিন ব্যক্তির নামে বরাদ্দকৃত জমি কবুলিয়াত দলিল রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হয়েছে।