বৃষ্টি-বাদলা উপেক্ষা করে শোকাবহ পরিবারের স্বজনদের শান্তনা দিতে তাদের বাড়িতে ছুঁটে যান মণিরামপুরের মানবতার সেবক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম। এ ছাড়া তিনি হাসপাতালের করোনা রোগী এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের খোঁজ খবর নেন।
জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাশিমনগর ইউপির গয়েসপুর গ্রামের আনিচুর রহমান ওরফে আনো (৫২) সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। খবর শুনে পরদিন মঙ্গলবার সকালে মুশলধারের বৃষ্টি উপেক্ষা করে শোকাবহ পরিবারকে সমবেদনা ও শান্তনা দিতে তাদের বাড়িতে উপস্থিত হন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম। এ সময় তিনি সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত আনো’র পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সুখ-দুঃখের সাথী হওয়ার আশ্বাস দেন।
নাজমা খানম একই দিন দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর করোন ইউনিট পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি হাসপাতালে ভর্তি ১৩ জন করোনা রোগীর সাথে কথা বলেন এবং শারীরিক খোঁজ-খবর নেন। এমনকি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ও ভর্তি অন্যান্য অসুস্থ রোগীরেদও খোঁজ নেন।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানমের ফেসবুক ওয়ালে নিদারুন কিছু লেখা ও দুইটি ছবি পোষ্ট করেছেন। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে স্টাটাসে লিখেছেন, জীবুন্নেছা বেগম- ৮০, করোনা রোগী, মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি আছে। ওঁর স্বামী মৃত. দ্বীন মুহাম্মদ। বাড়ি হাসপাতালের পাশে। তার ছেলে সাহেন সা, শরিফ ক্লথ ষ্টোর এর মালিক শরিফ, আলমগীর বস্ত্রালয়-এর মালিক আলমগীর, মণিরামপুর বাজারের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। হাসপাতালের সামনের দোকানগুলো তাদের।
কিন্তু খবুই দুঃখজনক বিষয় ওনার মা’র জন্য পরিবারের কেউ খোঁজ খবর নিচ্ছেনা। মহিলার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। শুধুমাত্র জামাই তার দেখাশোনাসহ সকল দায়িত্ব পালন করছে। তিনি প্রশ্ন করেন ছেলেদের এই সম্পদ সম্পত্তি থেকে ছেলেদের মানুষ করে ওঁর কি লাভ হলো ? তিনি আরও প্রশ্ন বানেন, আপনার ছেলে-মেয়ে কয়জন। উনি (জীবুন্নেছা) অনেক কষ্ঠ নিয়েই উত্তরে বলেন আমার কোন ছেলে-মেয়ে নাই। আমরা সবাই এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব, থাকবে শুধু আমাদের কৃতকর্ম।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, আমি যতদিন এ চেয়াওে আছি উপজেলাবাসীর সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। এ ছাড়া তিনি আহত জীবুন্নেছাকে তার ছেলেরা দেখাশোনা এবং সেবাযতœ নেয়ার দাবী জানান।