পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতের আঁধারে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার কুসুমসাড়া গ্রামের মাঠে প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে রোপনকৃত করলার গাছ উপরে ফেলেছে দূবৃত্তরা। সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা উপজেলার কুসুমসাড়া গ্রামের মাঠে ঘটেছে। করলা চাষীর অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জেরেই রোপণকৃত গাছগুলো উপরে ফেলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুসুমসাড়া গ্রামের চাষী মাহফুজার রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ও সবুজ মিয়া মিলে কুসুমসাড়া গ্রামের মাঠে অন্যর আড়াই বিঘা জমি বর্গা নেয়। সেই জমিতে তারা প্রায় দেড় মাস পূর্বে করলা গাছ রোপণ করেন। অধিকাংশ গাছগুলোতে ফুল এসেছে। আর কয়েক দিনের মধ্যে এসব গাছ থেকে ফল আসবে। তাই তারা নিয়মিত এসব করলা ক্ষেত পরিচর্যা করে আসছেন। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা ক্ষেতেই ছিলেন। কিন্তু সোমবার দিবাগত রাতের বেলায় কে বা কাহারা আড়াই বিঘা জমির সব গাছগুলো উপরে ফেলেছে।
করলা চাষী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি গরিব কৃষক। অনেক ধারদেনা করে অন্যর আড়াই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে করলা চাষ করেছি। করলা বিক্রি করে দেনার টাকা পরিশোধ করার কথা ছিলো। আমার যা পুজিঁ ছিল ওই ক্ষেতেই লাগিয়েছি। এখন আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা। আমার করলা ক্ষেতে পূর্ব শত্রুতার জেরেই রোপণকৃত গাছগুলো উপরে ফেলেছে। তবে গাছ উপরে ফেলার চাইতে যদি ওরা আমাকে মারপিটও করতো তবুও মেনে নিতে পারতাম। কিন্তু ফসলের ক্ষতি মেনে নিতে পারছিনা।
আরেক চাষী সবুজ মিয়া বলেন, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা তিনজনেই করলা ক্ষেতে ছিলাম। পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি ক্ষেতের সব গাছ কে বা কাহারা উপরে ফেলেছে।
কুসুমসারা গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী মামুনুর রশিদ বলেন, তাদের করলা ক্ষেতে একটি গাছও জীবিত নেই। আড়াই বিঘা জমির সব গাছ উপরে ফেলা হয়েছে। মানুষের সাথে মানুষের কলহ বিবাদ থাকতেই পারে কিন্তু ফসলের সাথে কেন। এ ঘটনায় করলা চাষীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় মাত্রাই ইউ’পি সদস্য আবদুল হান্নান বলেন, আমি নিজেও তাদের ক্ষেতে গিয়েছিলাম। সব গাছ উপরে ফেলেছে। এত বড় ক্ষতি কেউ মেনে নিবেনা। ব্যাক্তিগত আক্রশ থাকতেই পারে, সেটা ফসলের সাথে কেন। তদন্ত সাপেক্ষে এর সঠিক বিচার হওয়া দরকার।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক জানায়, কুসুমসাড়া মাঠে করলার গাছ উপরানোর বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ ওই ঘটনায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।