দারিদ্র্য বৃদ্ধি, স্কুল বন্ধ ও সামাজিক সেবা প্রাপ্তি কমতে থাকায় অধিক সংখ্যক শিশুদের কর্মক্ষেত্রে ঠেলে দিচ্ছেন তাদের পরিবার। কোভিড পরবর্তী বিশ্বকে আমরা নতুনভাবে দেখতে চাই বলে আমাদের নিশ্চিত করা দরকার যে, শিশু ও তাদের পরিবারগুলো ভবিষ্যতে একই ধরনের ধাক্কা সামলে নিতে বিকল্প পথ খুঁজে পায়।একইসাথে মানসম্পন্ন শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সেবাসহ আরও ভালো অর্থনৈতিক সুযোগ ইতিবাচক পরিবর্তনের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।” এমনটা প্রত্যাশাও ধারাবাহিকতায় বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের দরিদ্র্য কিবরিয়া এবং ইউসুব আলী শিকদারের শিশু পুত্র সাজিদ (৯),ও অব্দুল্লার (১০) কে নিয়ে এ প্রতিবেদন।
উপজেলার হিজলা বাজারে কথা হয় সাজিদ ও অব্দুল্লার সাথে। ওরা দুই বন্ধু, শাপলা বিক্রিকরতে বেশ ব্যস্তছিল। এগিয়ে যাই তাদের কাছে, মাস্ক মুখে না থাকায় কিছুটা ভয় কাজ করছিল তাদের মধ্যে। অভয়বাণী দিয়ে হাঁসতে হাঁসতে শুরু করলাম প্রশ্ন। জবাবে তারা বলেন, আমরা গরীব মানুষ অনেক কাজ করি। এখন শাপলা বেচছি,যখন যে কাজ পাই তাই করি। প্রশ্ন করলাম স্কুলে যাওনা ? উত্তর ছিলো’ না। পরে জানাগেল একজনের বাবা ভ্যান চালান। অপর জনের বাবা পরের জমিতে কামলা খাটেন। সে কারণে দুই বন্ধুর কেউ স্কুলে জায়না। বিল-ঝিল থেকে তুলে আনা বিক্রিত শাপলা বিক্রিতও কাজের অর্থ বাবা-মায়ের হাতে পৌঁছে দেয়। এব্যপারে
লেখক-সাংবাদিক ও পাক্ষিক “চিতলমারীর অন্তরালে” পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পংকজ ম-ল জানান “সবচেয়ে অসহায় শিশুদের জীবন, আশা-আকাঙ্খা ও ভবিষ্যতের ওপর কোভিড-১৯ মহামারী বিশেষ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। স্কুল বন্ধ ও পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় অনেক শিশু স্কুলে না গিয়ে পরিবারের দারিদ্র্যতার কারণে শ্রমে যুক্ত হয়ে পড়েছে।একইসাথে জীবনমানের পতন, স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার ঝুঁকিতেও রয়েছে তারা।