একসময় আষাঢ়-শ্রাবন মাসে গ্রামে বাড়ির পাশে জমির কাাঁদা পানিতে মাছ ধরারর চেষ্টার আলাদা আমেজ ছিলো। বাংলার এ ঐতিহ্য শোভা পেত সব জায়গায়। গ্রামের পথ-ঘাট, মাঠ-প্রান্তরে সুযোগ হলেই মাছ ধরা নিয়ে মেতে থাকত শিশু কিশোররা। অবশ্য বয়স্করাও এ আনন্দ থেকে বাদ যেত না। নানা ছোট মাছ ধরার প্রতিযোগিতা চলত। তৈরি করা হতো চাই, পেলী, জলেঙা সহ মাছ ধরার নানা দেশীয় যন্ত্র। এই মাস বা মৌসুম আসলেই মাছ ধরার সরন্জাম নিয়ে দৌড়ঝাঁপ বেড়ে যেত। বিশেষ করে শিশুদের মাঝে। এখন এসব দৃশ্য আর চোখেই পড়ে না। প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছে এসব ঐতিহ্য। দির্ঘ এই করোনার সংকটে স্কুল বন্ধ থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটা ও আশে পাশের এলাকায় ঘরবন্দি শিশু কিশোররা মেতেছে মাছ ধরার আনন্দে। বৃষ্টি হলেই বাড়ির আশে পাশের মাঠে, জমির কাঁদা পানিতে তারা বেড়িয়ে পড়ছে মাছ ধরতে। গতকাল উপজেলার কচুয়া এলাকায় সড়কের পাশে, বোনারপাড়ার দলদলিয়া গ্রামে ও চন্দনপাট গ্রামে দেখা মেলে এমন দৃশ্যের। মাছ ধরা যেমনই হোক, তাদেরকে বেশ আনন্দ উপভোগ দেখা গেছে। বৈশি^ক এই করোনার সংকটে স্কুল দির্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিশুদের চোখে মুখে এক ধরনের হতাশার ছাপ। তাই একটু ব্যস্ত থাকতে শিশুদের এই প্রাণের উচ্ছ্বাস যেন সামান্ন হলেও একটু বিনোদন আর ভালো লাগার খোড়াক যোগায়। উপজেলার শিমুলতাইড় গ্রামের কলেজ ছাত্র আতিকুর রহমান বলেন, অনেক বাচ্চা আর ঘরে থাকতে চায় না। তাই মাছ ধরার মত যেকোন কাজে যেন তারা আনন্দ খুজছে।