আদেশপত্র দেওয়ার একদিন আগেই কতিপয় ডিলারকে সার সরবরাহ করেছেন কালীগঞ্জ বিসিআইসি বাফার (সার) গোডাউন কর্তৃপক্ষ। তবে, বিষয়টি নিয়ে বাফার কর্মকর্তা শাহাজান আলী প্রথমে আদেশপত্র পেয়েই সার ডেলিভারীর কথা বললেও পরে অবশ্য তার ভ’ল স্বীকার করে মানবিকতার কথা বলেছেন। অনৈতিক লেনদেনেই তিনি এমন কান্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার বরাদ্ধপত্র ছাড়াই কতিপয় ডিলারকে সার সরবরাহ করায় ডিলারদের মাঝে এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সার ডিলার জানায়, বর্তমানে কালীগঞ্জ বাফার গোডাউনে নানা অনিয়ম জেকে বসেছে। বাফার ইনচার্জ শাহাজান আলী কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই তার ইচ্ছামত কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। ডিলারগন জানায়, সার প্রদানের ক্ষেত্রে বরাদ্ধপত্র না হওয়া পর্ষন্ত বাফার গোডাউন থেকে কোন সার প্রদানের নিয়ম নেই। অথচ গত রোববার তিনি কোন বরাদ্ধপত্র ছাড়াই কালীগঞ্জের রাম বাবু ও সোহরাব হোসেন নাই দুই সার ডিলারকে সার ডেলিভারী দিয়েছেন। সরকারী বাফার গোডাউনে এহেন অনিয়ম কর্মকা-ে অন্নান্য সার ডিলারগন প্রতিনিয়ত নাজেহাল হচ্ছেন।
বরাদ্ধ আদেশ ছাড়াই সার ডেলিভারীর বিষয়টি জানতে সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মোবাইলে কথা বললে বাফার গোডাউন ইনচার্জ শাহাজান আলী জানান, রোববার আদেশ পত্র পেয়েই তারা সার ডেলিভারী দিয়েছেন। এর পরই আদেশপত্রের বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ে জানতে কালীগঞ্জ উপজেলা সার ব্যাবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিকদার মোঃ মোহায়মেন আক্তার জানান, রোববার কোন আদেশপত্র দেওয়া হয়নি। সোমবার সকালে সার ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন বরাদ্ধপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। সংশ্লিষ্ট দুটি পক্ষের এমন বক্তব্যর প্রেক্ষিতে সোমবার বেলা ১২ টার দিকে বাফার কর্মকর্তাকে পূনরায় কল দিলে তিনি আদেশ পত্রের ১ দিন আগেই সার ডেলিভারী দেবার কথা স্বীকার করেন। তবে কেন এমন করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি তিনি অনেকটা মানবিক কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যান।
একদিন আগে রোববার সার উত্তোলনকারী ডিলার রাম বাবু জানান, তিনি ডিও করে বাফার অফিসে কর্মকর্তার সাথে কথা বলেই এক ট্রাক সার গ্রহন করেছেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন জানায়, বরাদ্ধ আদেশপত্র ছাড়া সার ডেলিভারী দেওয়া ঠিক নহে। কিভাবে সার দিলেন বিষয়টি তিনি কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে যাবতীয় খোঁজ খবর নিবেন।