শ্বাসকষ্ট ও জ¦রে অসুস্থ হয়ে পড়লে কৃষক ভোলা মিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে পাঠানো হয় বাড়িতে। সাথে নেওয়া হয় করোনার স্যাম্পল। পরদিন মারা যান ভোলা মিয়া। দাফন সম্পন্ন করে পরিবার সহ এলাকাবাসী। দাফনের ঠিক ৪দিন পর রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ। এমন রিপোর্ট শুনে হতবাক মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী। এমন ঘটনাটি ঘটেছে, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। কৃষক ভোলা মিয়া (৬০) ওই গ্রামের মৃত তারাব উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, গত ২৮ জুলাই শ্বাসকষ্ট ও জ¦রে অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষক ভোলাকে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা স্যাম্পল নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠায়। পরের দিন গত ২৯ জুলাই কৃষক ভোলা মিয়া মারা যান। ওইদিন পারিবারিক ভাবে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। ওই কৃষক মারা যাওয়ার চারদিন পর গত ২ আগস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া আইইডিসিআর এর পাঠানো তথ্য মতে রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ। মৃত্যুর ৪ দিন পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওই কৃষকের মৃত্যুর তালিকায় নাম প্রকাশ হয়। এমন সংবাদ পেয়ে গত বুধবার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা করোনায় মৃত ভোলা মিয়ার বাড়ীতে গেলে পরিবারের লোকজন জানান, আমরা জানি না করোনায় সে মারা গেছে। তার ভাতিজা ফারুক বলেন, গত ২৮ জুলাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভোলা মিয়ার করোনা পজিটিভ রিপোর্টের কথা শুনে পরিবারের লোকজন হতবাক হয়ে যান। শুধু পরিবার নয় এলাকাবাসীও হতবাক। এ বিষয়ে সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আরিফুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে আমি এখন কিছু বলতে পারছি না। সবকিছু জেনে পরে জানাবো।