পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়ীয়া গ্রামে এক স্কুলছাত্রী (১১) কে পানের বরজে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে এক লম্পট। ওই স্কুলছাত্রী ৮ নম্বর ভিটাবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ঘটনায় লম্পট আমির ফরাজীর (৬০) বিরুদ্ধে ভাণ্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর মা। আমির ফরাজী দক্ষিণ ভিটাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত হাসেম ফরাজীর ছেলে।
ভূক্তোভোগী শিক্ষার্থীর মা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির পরিবারিক অস্বচ্ছলতার সূযোগে প্রতিবেশী আমির ফরাজী বেশ কয়েক দিন ধরে ওই শিশুটিকে অর্থের লোভ দেখিয়ে সুপারি কুরিয়ে আনতে বলে। গত সোমবার দুপুরে শিশুটি সুপারী নিয়ে আমির ফরাজীর কাছে টাকা আনতে গেলে শিশুটিকে ডেকে পানের বরজে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সে। এ সময় শিশুটির ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশী এক দম্পতি ছুটে এলে তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমির ফরাজী পালিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে বুধবার দুপুরে আমির ফরাজী লোকজন নিয়ে ওই ধর্ষিতা শিশুটির বসতবাড়িতে গিয়ে স্থানীয় ভাবে ঘটনাটি শালিস বৈঠকের মাধ্যমে দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই অসহায় পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার লোভ দেখায় এবং কাউকে কিছু না বলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে শিশুটির মা আমির ফরাজীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাণ্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার শিশুটিকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য পিরোজপুর বিচারিক আদালতে নেয়া হয়েছে।