নি¤œমানের কাজের অভিযোগে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা রায়টা জুনিয়াদহ সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ভেড়ামারা উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার রকিব হোসেন। আজ বৃহস্প্রতিবার দুপুরে সড়কের কাজ পরির্দশনে গিয়ে তিনি নি¤œমানের কাজ দেখতে পান। পরে তা বন্ধের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন সড়ক রায়টা জুনিয়াদহ সড়ক। ১৯ কিলোমিটার সড়কের জন্য ব্যায় ধরা হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম থেকেই নি¤œমানের কাজের অভিযোগ করে আসছিলেন এলাকাবাসী। বর্তমানে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি বাজারের পাশে সড়কের উন্নয়ন কাজ চলছে। অতিবর্ষনের মাঝেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্ল্যাকসী এ্যাসোসিয়েট তড়িঘড়ি কাজ করে চলেছে।
আজ বৃহস্প্রতিবার দুপুরে সড়কের কাজ পরিদর্শনে যান ভেড়ামারা উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার রকিব হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, কুষ্টিয়া এলজিডি’র সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল রাশেদি। তার দেখতে পান অটো মেশিনে মিকছিং হওয়া খোয়ার সাথে ডাষ্টের পরিমান খুবই কম। মিকছিং এ কমপক্ষে ৫ ভাগ ডাষ্ট প্রয়োজন ছিল। বিটুমিন সহ অনন্য খরচ বাঁচাতে তারা ২ বা ৩ ভাগ ডাষ্ট দিচ্ছিলেন। ডাষ্টের পরিমান কম হলে খোয়ার সমন্বয় ঘটে না। এ সময় কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন প্রকৌশলীরা।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার রকিব হাসান জানিয়েছেন, ভেড়ামারা রায়টা জুনিয়াদহ সড়কের আড়কান্দি এলাকায় এখন কাজ চলছে। অটো মেশিনে মিকছিং করে রাস্তায় খোয়া বিছানো হচ্ছে। তাতে দেখা গেছে, মিকছিং এ কমপক্ষে ৫ ভাগ ডাষ্ট প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা ২ বা ৩ ভাগ ডাষ্ট দিচ্ছিলেন। ডাষ্টের পরিমান কম হলে খোয়ার সমন্বয় ঘটেনা। খোয়ার মাঝে অনেক ফাঁকের সৃষ্টি হয়। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। যে কারণে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।