গাজীপুরের টঙ্গীতে বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ক্রসলাইন লিমিটেড নামক একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের বাধা দিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ, আনসার ও পোশাক শ্রমিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। গতকাল টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ভাদাম এলাকায় কারখানা ফটকের সামনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শ্রমিকরা বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয়।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-এএসআই এমদাদুল হক, মেহেদী, সাব্বির, আশরাফুল, মারুফ তমাল। আনসার সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ আলী মোল্লা।
শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ভাদাম এলাকায় শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সকাল থেকে কারখানার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের সময় প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও পুলিশ আহত হয়। ঘটনাস্থলে শিল্প পুলিশের ৫ জন ও ৩ জন আনসার সদস্য আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার এস আলম জানান, ক্রসলাইন লিমিটেড পোশাক কারখানায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।