গত কদিন ধরে চলা জোর গুঞ্জন সত্যি করে ম্যানচেস্টার সিটিতে পা রাখলেন জ্যাক গ্রিলিশ। ছয় বছরের চুক্তিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে যোগ দিলেন অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার। গ্রিলিশের পুরনো ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা ও নতুন ঠিকানা সিটি, কেউই তার ট্রান্সফার ফির বিষয়ে জানায়নি। তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর, তাকে দলে টানতে ১০ কোটি পাউন্ড খরচ হয়েছে ম্যানচেস্টারের দলটির। খবরটি সত্যি হলে, প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এখন সবচেয়ে দামি ফুটবলার ২৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। ২০১৬ সালে ইউভেন্তুস থেকে গণমাধ্যমের খবর মতে পল পগবাকে আট কোটি ৯৩ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে দলে ফিরিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেটিকেই এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ড ট্রান্সফার ফি ধরা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে অ্যাস্টনের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছিলেন গ্রিলিশ। মেয়াদের চার বছর বাকি থাকতে ক্লাব ছাড়লেন তিনি। সিটির ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে গ্রিলিশ জানান, এখানে আসতে পেরে তিনি দারুণ খুশি। “বিশ্বসেরা হিসেবে বিবেচিত একজন কোচকে নিয়ে সিটি এদেশের সেরা ক্লাব। এই ক্লাবের অংশ হতে পেরে আমার একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।” “গত ১০ মৌসুমে তারা ধারাবাহিকভাবে মেজর ট্রফি জিতেছে। পেপ (গুয়ার্দিওলা) এখানে এসে দলটিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে গেছেন। আর এই দল যে ফুটবল খেলে তা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর।” ফুটবলে গ্রিলিশের পথচলা শুরু অ্যাস্টন ভিলার যুব দলে। ২০১৪ সালে ক্লাবটির মূল দলে অভিষেক হয় তার। ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করা এই প্লেমেকার ২০১৯ সালের মার্চ মাসে দলটির নেতৃত্ব পান। ক্লাবটির হয়ে ২০০ এর বেশি ম্যাচ খেলে ৩২টি গোল করেছেন তিনি, করিয়েছেন ৪৩টি। যুব পর্যায়ে আয়ারল্যান্ড বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। ২০১৫ সালে তিনি বেছে নেন ইংল্যান্ডকে। পরের বছর খেলেন দেশটির অনূর্ধ্ব-২১ দলে। ২০২০ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার, সেই থেকে এ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ১২ ম্যাচ। গত মাসে শেষ হওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখতে ও অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের অভিযান শুরু করতে যাওয়া গুয়ার্দিওলার দলের শক্তি নিশ্চিতভাবেই বাড়াবে গ্রিলিশের আসা।