গত বছর লিওনেল মেসি যখন বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দিলেন, তখন কাতালুনিয়ায় বিক্ষোভে নেমেছিলেন বার্সা সমর্থকেরা। তারা তখনকার সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। শেষ পর্যন্ত বার্তামেউ পদত্যাগে বাধ্য হন; তাকে জেলেও যেতে হয়। মেসি চুক্তির একটি আইনি প্যাঁচে পড়ে থেকে যান আরও এক মৌসুম। গত মৌসুম শেষে আবারও মেসিকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত লিওনেল মেসির সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক শেষ করতে বাধ্য হলো বার্সেলোনা।বৃহস্পতিবারই মেসির সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা ছিল। সেই অনুযায়ী মেসির এজেন্টদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বার্সা কর্মকর্তারা মধ্য়াহ্নভোজেরও আয়োজন করেছিলেন। তবে মেসির নতুন চুক্তির ব্যাপারে বাঁধ সাধে লা লিগা। রিপোর্ট অনুযায়ী আর্থিক স্বচ্ছতা বা ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে বজায় রাখতেই লা লিগা কর্তৃপক্ষ মেসির নতুন চুক্তি নাকচ করে দেয়। এরপরেই বার্সা কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে মেসির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কথা জানান। মেসির এই বিদায়ে মুষড়ে পড়েছেন তার সমর্থকেরা। কাতালান ক্লাবটির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ এই ফুটবলারকে আর বার্সার জার্সিতে দেখা যাবে না- এটা যেন তারা মানতেই পারছেন না। বৃহস্পতিবার রাতে বার্সার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর থেকেই মেসিভক্তরা ক্যাম্প ন্যুয়ের সামনে ভিড় করেন। অনেকে ক্লাব ও লা লিগার প্রতি ক্ষোভ প্রদর্শন করেন। আবার অনেকে অঝোরে কাঁদছিলেন। বেশিরভাগই মনে করছিলেন; এটাও হয়তো গত বছরের মতো মিথ্যা হয়ে যাবে। কিন্তু না, মেসির বার্সা ত্যাগ এখন নির্মম সত্যি!