বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে গ্রামীণ জনপদের কাঁচা-পাকা রাস্তার পাশের মাটি ডেবে যায়। এতে রাস্তার অনেক স্থানেই ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়। আবার রাস্তার কোন কোন স্থান দিয়ে পানি অধিক নামার ফলে বড় আকারেরও গর্তের সৃষ্টি হয়ে রাস্তা ভেঙ্গে যায়। ফলে ভাঙ্গা রাস্তায় বড় যানবাহন চলাচলে প্রায় দূর্ঘটনা ঘটে।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের সমসাবাদ এলাকায় শনিবার বৃষ্টির পানিতে সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলো মাটি দিয়ে ভরাট করতে দেখা যায় নারী শ্রমিকদের। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে ”রুরাল ইমপ্লয়মেন্ট এ- রোড মেইনটেনেন্স কর্মসূচি প্রকল্প’র (আরইআরএমপি-৩)” মাধ্যমে নারী শ্রমিকরা এ কাজ করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কাজের অবসরে রাস্তার পাশেই সারিবদ্ধভাবে নিজেদের বাড়ি থেকে আনা দুপুরের খাবার খাচ্ছে তারা। শ্রমিকদের দলনেত্রী মিনি বিবি বলেন, এ কাজের জন্য অফিস থেকে আমাদেরকে পোষাক দিয়েছে সেই পোষাকে আমরা রাস্তার কাজ করি। এ ছাড়া প্রত্যেককে কোদাল, হাসুয়া, ঝুড়ি, দুড়মুজ দেওয়া হয়েছে। এসব দিয়ে আমরা মাটি কাটি এবং রাস্তার পাশের আগাছাও পরিস্কার করি। প্রতিদিন হাজিরা বাবদ ২৫০ টাকা হলেও আমরা পাই ২০০ টাকা করে। বাঁকি ৫০ টাকা আমাদের নামে ব্যাংকে জমা হচ্ছে। প্রজেক্ট শেষে ৩ বছর পর একবারে পাব বলেও জানান দলনেত্রী।
উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল কাইয়ুম বলেন, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের এসব গ্রামীণ রাস্তাগুলো রক্ষনাবেক্ষনের জন্য ১০ জনের একটি করে নারী শ্রমিক দল কাজ করছে। গত ২০০০ সালে প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজটি শুরু হলেও আগামী ২০২৩ সালে শেষ হবে বলেও জানান।