টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে শাহানাজ আক্তার মীম (২১) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের পাথরাইল পশ্চিমপাড়া স্বামীর বাড়ী থেকে পানিতে ভেজা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। স্বামীর পরিবার ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করলেও পিতার দাবি পরিকল্পিত হত্যার।
জানা যায়, দেলদুয়ার সদর ইউনিয়নের দেলদুয়ার পশ্চিমপাড়ার মোঃ জহুর উদ্দিনের মেয়ে শাহানাজ আক্তার মীমের ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয় পাথরাইল ইউনিয়নের পাথরাইল গ্রামের মোঃ সোহরাব মিয়ার ছেলে মোঃ কবির মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই মাঝেমধ্যে স্বামী বিভিন্ন অজুহাতে শাহানাজের উপর শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো এমন দাবি পিতার। শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহানাজের সারা শরীর ভেজা অবস্থায় স্বামীর ঘরে লাশ পাওয়া যায়।
শাহানাজের পিতা মোঃ জহুর উদ্দিন জানান, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। কেননা শশুর বাড়ীর লোকজন আত্মহত্যার কোন আলামত তাকে দেখাতে পারেনি।
এব্যাপারে দেলদুয়ার থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার বলেন খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর পর ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বুঝা যাবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এবং তদানুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। আপাতত থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে ।