জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি বলেছেন, করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করছেন। কেবল ২৫ উর্ধ্ব নয়, পর্যায়ক্রমে সব মানুষই টিকা পাবেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশের মানুষ যাতে অকালে মৃত্যুবরণ না করেন, প্রধানমন্ত্রী সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, আমরা শেরপুর জেলার প্রতিটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য কাজ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া হচ্ছে, দেশের সব মানুষকে টিকার আওতায় আনা। সীমান্তবর্তী এই জেলার মানুষের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। মানুষ কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভিড় করছে টিকা নেয়ার জন্য। আমরা আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যেই জেলার অন্তত: ৬০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারবো। এ সময় পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শারমিন রহমান অমি, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বারী চাঁনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন শেরপুর জেলার ৫২টি ইউনিয়নের ১৫৬টি বুথ এবং শেরপুর ও নালিতাবাড়ী পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রে ১২ বুথসহ মোট ১৬৮টি বুথে ৩৩ হাজার ৬শ মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রে ৩টি করে বুথ স্থাপন করা হয়। এসব কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেলে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্রেশন করে টিকা প্রদান করা হয়। এদিকে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে সকাল থেকেই টিকা গ্রহণের জন্য মানুষ ভিড় করতে থাকে। দাঁড়িয়ে যায় লম্বা লাইনে। কেন্দ্রগুলোতে ১২টার মধ্যেই টিকাদান কর্মসূচি শেষ হয়ে যায়। প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। কোথাও কোনো সমস্যা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ বলেন, টিকার জন্য মানুষকে দৌড়াতে হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টিকা মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। এ লক্ষ্যেই গণটিকার কার্যক্রম শুরু হলো। এদিন ইউনিয়ন পর্যায়ে গণটিকা শুরু হলেও জেলা সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে নিয়মিত কার্যক্রমের আওতায় টিকা নিয়েছেন আরও প্রায় ২ হাজার মানুষ। তিনি আরও জানান, অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১২ হাজার ডোজ টিকা শেরপুরে এসে পৌঁছেছে। যারা ওই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি, মেসেজ প্রাপ্তি সাপেক্ষে রোববার থেকে তাদের টিকা প্রদান শুরু হবে।