খুলনার পাইকগাছায় বাথরুমের সেপ্টিটেংকির উপর নির্মিত কুড়ে ঘরে ভাড়ায় দশ বছর বসবাস করছে এক ভূমিহীন পরিবার। জনপ্রতিনিধিরা জানেননা এ পরিবার খবর। উপজেলার নাছিরপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী তুরফান মোড়লের পুত্র মফিজুল মোড়ল (২৪), স্ত্রী, সন্তান ও নানীকে নিয়ে তার সংসার। জায়গা জমি বলতে কিছুই নেই তার। মফিজুলও তার নানী জবেদা জানান, স্থানীয় হাফিজুর রহমানের বাথরুমের সেপ্টিটেংকির উপর নির্মিত ছোট্ট কুড়ে ঘরটি ৫'শ টাকায় ভাড়া দিয়ে দশ বছর বসবাস করছি। বর্ষাকাল চলার পথে স্যাৎ স্যেতে কাঁদা। চারপাশে এতই নোংরা অবস্থা যেখানে খুবই দুর্গন্ধ। স্থানীয় ফরিদা বেগম বলেন, মফিজুল প্রায় দশ বছর ধরে বাথরুমের স্লাপের উপর বসবাস করছে। তাদের চারপাশের অবস্থা এতই নোংরা সেখানে কেউ তাদের সাথে সঙ্গ দিতেও পারেনা। নিতে পারেনা খোঁজ খবর। ভাড়ার কথা অস্বীকার করে বাড়ীর মালিক রেগে যেয়ে বলেন, আমি করুনা করে ওদের থাকতে দিয়েছি। আর সাংবাদিক এনে আমার মানসম্মান নষ্ট করছে। ওদেরকে বের হয়ে যেতে বলেন। কপিলমুনি ইউপি ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, এধরনের কোনো পরিবার এখানে আছে তা আমার জানা ছিলোনা। চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার অসুস্থ থাকায় তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। মফিজুল জানান, আমরা দু’ভাই বোন। পিতার কোনো জায়গা জমি ও ঘর-বাড়িও নেই। তিনি পাগল, কর্মাক্ষম, অসুস্থ এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ায়। মা হাসিনা বেগমও পাগল বাবার সাথে ঠিকানা বিহীন ঘুরে বেড়ায়। আমরা কখনও পাইনি বাবা মায়ের আদর ভালবাসা। বাবার বাড়ী তালা থানার মাছিয়াড়া গ্রামে হলেও জন্মলগ্ম থেকে নানার বাড়ীতে বেড়ে উঠা। পরের বাড়ী কামলা খেটে চলে পরিবারের চার সদস্যের সংসার। আমি একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। এর মধ্যে বাসা ভাড়া বিদ্যুৎ বিল দিয়ে সংসার চালনা খুবই কঠিন। এদিকে বোনটা বিবাহ যোগ্য হয়ে উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী দৈনিক ভোরের পাতাকে জানান, এমন খবর জানান পর অলরেডি ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের আসতে বলা হয়েছে। এমন লোকদের জন্যইতো সরকার ঘর দিচ্ছে। এধরনের কোনো ব্যক্তির নাম ঠিকানা আমার কাছে বা দপ্তরে আসলে এবং যোগাযোগ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।