করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ এলাকা হিসেবে চিহিৃত কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চলছে টিকার জন্য হাহাকার। শনিবার গণ টিকা কার্যক্রমের প্রথম দিনে দুপুরের আগেই সকল ইউনিয়ন টিকা কেন্দ্রে টিকা শেষ হয়ে যায়। সকাল থেকে হাজার-হাজার মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িঁয়েও টিকা দিতে না পেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে উপজেলার একাধিক ইউনিয়নে জনতার সাথে আনসার বাহিনীর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় শনিবার গণ টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়। বিভিন্ন ইউনিয়নে টিকা স্বল্পতায় দুপুরের আগেই টিকা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি ইউনিয়নে হাজার-হাজার মানুষ টিকা দিতে কেন্দ্রে আসে। টিকা গ্রহিতাদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। টিকা গ্রহিতাদের অনেকে অনলাইনে টিকার জন্য নিবন্ধন না করে শুধু আইডি কার্ড নিয়ে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে বিপাকে পড়েন। টিকার অনলাইন রেজিষ্ট্রিশন ও টিকা নিতে আসা লোকজনকে উপজেলার বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহযোগীতা করতে দেখা যায়। উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়ন ও বাংগড্ডা ইউনিয়নে টিকা দিতে আসা স্থানীয় লোকজনের সাথে টিকা কার্যক্রমে শৃংখলায় নিয়োজিত আনসার বাহিনীর সদস্যদের সাথে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানান নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: দেব দাশ দেব। টিকা দিতে না পেরে উপজেলার সর্বত্র হাহাকার বিরাজ করছে।
উপজেলা ব্যাপী টিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল। নাঙ্গলকোটে গণ টিকা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: দেব দাশ দেব। ঢালুয়া ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান নাজমুল হাছান ভূঁইয়া বাছির, বাংগড্ডা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শাহ জাহান মজুমদার, রায়কোট উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মাস্টার রফিকুল ইসলাম, সচিব গরীবে নেয়াজ, পেরিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মজুমদার।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: দেব দাশ দেব বলেন, টিকা স্বল্পতার কারণে দুপুরে টিকা দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এনিয়ে দু’টি ইউনিয়নে আনসার বাহিনীর সাথে স্থানীয়দের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।