কুমিল্লার মুরাদনগরে ইভটিজিংয়ের অপমান সইতে না পেরে সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামে এক মাদরাসা ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিন বখাটে যুবককে গ্রেফতারপূর্বক আদালতের মাধ্যমে কারনাগারে পাঠিয়েছে। উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিযনের নবীয়াবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মা রিনা আক্তার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে সুমাইয়া আক্তার বাড়ির পাশে কালভার্টের উপর দুই যুবকের সাথে কথা বলছিল। এ ঘটনা দেখে ওই সময় নবীয়াবাদ গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৭), হাকিম মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (২৭), হেলাল মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (২২), কাদির মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৬) ও কাশেম মিয়ার ছেলে ইসমাইল মিয়াসহ (২৩) একদল বখাটে বিভিন্ন কুরুচি মন্তব্যসহ সুমাইয়া আক্তারকে অপমান করে। অপমান সইতে না পেরে পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে সুমাইয়া আক্তার বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তখন বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১০টায় সুমাইয়া আক্তার মারা যায়। নিহত সুমাইয়া আক্তার (১৫) নবীয়াবাদ আব্দুল ওয়াদুদ সরকার ফাজিল মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ও একই গ্রামের গোলাম ছামদানীর মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহত সুমাইয়া আক্তারের মা রিনা আক্তার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ করে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জন বখাটে যুবককে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, নবীয়াবাদ গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (২৭), কাদির মিয়ার ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৬) ও হেলাল মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (২২)। তাদেরকে শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নিহত মাদরাসা ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যসহ অপমান করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।