নাগেশ্বরীতে করোনা মোকাবেলায় গণটিকা কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহ নিয়ে টিকা প্রদান কেন্দ্রগুলোতে গেছেন মানুষ।
সারাদেশের ন্যায় শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ১১ টি টিকা প্রদান কেন্দ্রে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় একসঙ্গে এ কর্মসূচি শুরু হয়। নেওয়াশী কেন্দ্রে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য আছলাম হোসেন সওদাগর। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান, নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী প্রমুখ। পরে বামনডাঙ্গা, বেরুবাড়ী, রায়গঞ্জ, ভিতরবন্দ, কেদার, কচাকাটা, বল্লভেরখাস, নারায়ণপুর, নেওয়াশী, হাসনাবাদ, রামখানা ইউনিয়নে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম। এতে প্রথমাবস্তায় প্রতিটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ৬শত জনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। ১১টি কেন্দ্রের ৩৩ টি বুথে নিরবিচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করেন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কেদার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় টিকা প্রদান কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিতে আসা ওই ইউনিয়নের সুবলপাড় গ্রামের মাহাবুব জামান রঞ্জু ব্যাপারী, আমিনুল ইসলাম তোহা, বাহের কেদারের ইসমত আরা পারভীন জানান, প্রথমবস্তায় এনিয়ে আমাদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। ভ্যাকসিন নেয়ার পর আমাদের সে ভয় কেটে গেছে। আজ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলাম কিন্তু টেরই পেলাম না। এখন ভাবছি দ্বিতীয় ডোজ পেলেই আমি অনেকটা বিপদমুক্ত। বেশ ভাল লাগছে। এরকম অনুভূতি বিভিন্ন টিকা প্রদান কেন্দ্রগুলোতে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষজনের।
এদিকে পৌরসভা, কালীগঞ্জ, নুনখাওয়া, সন্তোষপুর ইউনিয়নে এদিন ইপিআই কার্যক্রম চলমান থাকায় করোনা ভ্যাকসিনের টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল। এ ইউনিয়নগুলোতে রোববার করোনা মোকাবেলায় ভ্যাকসিনের ১ম ডোজ প্রদান করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন গ্রহনেচ্ছুক মানুষের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।