গণটিকাদান শুরুর দু’দিনেই রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকায় ভ্যাকসিক প্রদান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ছয়দিন নির্ধারণ পূর্বক দেড় লাখ ব্যক্তিকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যে কার্যক্রম গত শনিবার সকাল থেকে মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ৮৪টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছিল। এই গণটিকাদান কার্যক্রম চলার কথা ছিল আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু ভ্যাকসিনের মজুদ দু’দিনেই শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে গণটিকাদান স্থগিত করা হয়েছে।
ভ্যাকসিন মজুদ ঘাটতির বিষয়টি সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলে স্বীকার করে রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, আমাদের টার্গেট ছিল নগরীর দেড় লাখ মানুষকে টিকা দেব। তিনি বলেন, প্রথমে আমরা ৮২ হাজার টিকা পেয়েছিলাম। দুই দিন ক্যাম্পেইন চালানোর পর আমাদের হাতে আর যে অবশিষ্ট টিকা আছে তা দিয়ে ৮৪ কেন্দ্রে একদিন ক্যাম্পেইন করা সম্ভব নয়। তাই ক্যাম্পেইন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে আগের নিয়মেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আইডি হাসপাতাল, বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল কেন্দ্রে নিয়মিত টিকাদান চলবে।
তিনি আরও বলেন, শুনছি সেন্ট্রালেই টিকার ঘাটতি। এ কারণে এখনই হয়ত আর পাব না। তবে হাতে টিকা পাওয়া মাত্রই আবারও ক্যাম্পেইন শুরু হবে। তবে কেবল নগরীতেই নয়, রাজশাহী জেলার নয় উপজেলাও ফুরিয়েছে টিকার মজুদ।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার জানান, সিনোফার্মের ৩৩ হাজার ৬০০ ডোজের কিছু বেশি টিকা মজুদ ছিল জেলায়। টিকাদান ক্যাম্পেইনেই তা শেষ হয়ে যায়।
এদিকে, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিভাগজুড়ে রোববার প্রথম ডোজে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৫১ জন। একই দিন এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৪৭৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন রাজশাহী নগরীর ১৭৪ জন। আর গত রোববার রাজশাহী নগরীতে মর্ডানা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪২ হাজার ৬২৪ জন। সবমিলিয়ে এই দিনে বিভাগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪ হাজার ২৪৬ জন। আর ১ হাজার ৬৯০ জন নিয়েছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ।