নওগাঁর মহাদেবপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হেদায়েতুল ইসলাম (৮৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পতœীতলা উপজেলার নাগরগোলা গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তিনি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের কাচারীপাড়ায় তার পুত্রবধূ শিক্ষিকা কহিনুর আক্তার কুমুর বাসায় বসবাস করতেন। সরকারী হিসেবে এনিয়ে এই উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৭ জন মারা গেলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার হেদায়েতুল ইসলামকে বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস পজিটিভ রেজাল্ট আসে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে মহাদেবপুরে পরীক্ষা না করায় তার রিপোর্ট আসতে দেরী হয়। এরআগে গত ২ আগস্ট উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের শিবগঞ্জ বাজারের শ্রী মলয় নীল সরকার (৬৯) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং চিকিসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়। জেলার বাইরে পরীক্ষা হওয়ায় তার নাম সরকারী হিসেবে উপজেলায় মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আবদুল হাকিম জানালেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নির্দেশনা আসলে তার নাম তালিকায় উঠানো হবে।
সরকারী হিসেবে গতবছর ১৭ মার্চ শুরু থেকে গত মে মাস পর্যন্ত এই উপজেলায় মারা যান ৪ জন। জুন মাসে ৭ জন ও জুলাই মাসে ৫ জন। আর চলতি মাসে মারা গেলেন ১ জন।
সোমবার (৯ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় সব কটির ফলাফল নিগেটিভ আসে। এদিন বগুড়া টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে একজনের করোনাভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট আসে। তিনি উপজেলা সদরের কলেজপাড়ার ইলা ব্যাণার্জী (৫৮)। পরীক্ষা তুলনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৩৩। এদিন ৭ জনকে সুস্থ্য ঘোষণা করা হয়।
এনিয়ে এই উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হলেন ৫১১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৪৮১ জন। বর্তমানে এই উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন ১৩ জন।