রাজশাহীর তানোরে সদর হিন্দুপাড়ায় বিধবা মামি ও ভাগ্নেকে একই ঘর থেকে জনতার হাতে আটক ও পুলিশ কর্তৃক উদ্ধারের ৫দিন পর ভাগিনা মামিকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ব্লেড দিয়ে হাত কেটে ও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন মামি।এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের পাশাপাশি চরম উত্তজনা বিরাজ করছে। (প্রেমিকা) ১সন্তানের জননী বিধবা মামি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, তানোর হিন্দুপাড়ার মৃত পূর্ণ চন্দ্র কর্মকারের ছেলে তানোর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক উত্তম চন্দ্র কর্মকার একই গ্রামের (গ্রাম প্রতিবেশী মামা) জৈনক মৃত ব্যাক্তির বিধবা স্ত্রী ১ সন্তারের জননী মামির সাথে প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ২বছর ধরে দৌহিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলো।
(১লা আগষ্ট) রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হিন্দু পাড়ার ওই বিধবার ঘরে ভাগ্নেসহ মামিকে আটক করেন গ্রামবাসী। খবর পেয়ে পরদিন সোমবার বেলা ১১টার দিকে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে শতশত জনতার সামনে বিধবা মামির ঘর থেকে মামি ও ভাগ্নেকে উদ্ধার করে থানায় নেন। এ সময় বিধবা মামি তার ভাগ্নের বিষয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন না মর্মে থানায় লিখিত দিলে পুলিশ মামিকে তার মায়ের জিম্মায় ছেড়ে দেন। অপর দিকে ভাগ্নে উত্তমকে ১৫১ধানায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে চালান করেন।
ভাগ্নে জামিনে মুক্ত হয়ে (৭ই আগষ্ট) শনিবার মামিকে রাজশাহী শহরে ডেকে নেন। এ সময় ভাগ্নে তার প্রেমিকা বিধবা মামিকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিক ভাগ্নের সামনেই প্রেমিকা বিধবা মামি ব্লেড দিয়ে হাত কেটে ও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে প্রেমিক ভাগ্নে উত্তম প্রেমিকা বিধবা মামিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত প্রেমিক ভাগ্নে উত্তম চন্দ্র কর্মকার বলেন, আমি জামিন আসার পর থেকে আমার মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে আমার সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করে মামি। তিনি বলেন, আমি তাকে (মামিকে) রাজশাহী দেখা করতে বলি এবং রাজশাহীতে দেখা করে কথা বলার একপর্যায়ে আমাকে দিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে আমি রাজি না হওয়ায় (আগে থেকেই তার কাছে থাকা) ব্লেড দিয়ে হাত কেটে ফেলে এবং বিষপান করে। আমি (মামিকে) তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি বর্তমানে সে (মামি) ভালো আছে।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, ওইদিন বিধবা মামি তার ভাগ্নের বিরুদ্ধ কোন মামলা না করায় ভাগ্নেকে ১৫১ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিলো। বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনাটি রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে বলে জানান তিনি।