টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া সেই নবজাতককে গলাটিপে হত্যা করেছে মা। আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ বছরের ২ জুন উপজেলা সদরের সাব রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন দেলদুয়ার টাঙ্গাইল সড়কের পাশ থেকে এক নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ওই সময় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের পর ঘটনাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। রোববার পুলিশ মামলার আসামি নবজাতকের মা সুমি আক্তার (২৬) ও নানী সাহারা বেগম (৪৫) কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। তারা টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মা নবজাতকের গলা টিপে ধরে এবং নানী মাথা চেপে ধরে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়।
জানা যায়, উপজেলার ফাজিলহাটী উনিয়নের দেলুয়াকান্দি গ্রামের মোঃ নসু মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তারের স্বামী মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের বররা গ্রামের মোঃ শওকত মিয়া প্রবাসে থাকা অবস্থায় পরকিয়ায় জরিয়ে পরে সুমি। এরইমধ্যে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে গত ২ জুন টাঙ্গইলের কোন এক হাসপাতালে এক পুত্র সন্তান জন্ম দেন সুমি আক্তার। পরে সুমির মা সাহারা বেগম ও সে গলা টিপে নবজাতকটিকে হত্যা করে দেলদুয়ার এসে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। এদিকে আদালতে সুমির জবানবন্দি অনুসারে পরকীয়া প্রেমিক ভররা গ্রামের ছানোয়ার মিয়াকে সোমবার আটক করে রিমান্ডে নিয়েছে থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক দিপু সরকার জানান নবজাতকের পিতৃৃ পরিচয় নিশ্চিতের জন্য গ্রেফতারকৃত ছানোয়ারের ডিএনএ টেস্টের আবেদন করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে।